পাকিস্তানের মিরেজ যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি ভারতের

ভারতের শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে দাবি করা হয়েছে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনার সময় ভারতীয় বিমান বাহিনী ওই দেশটির একটি মিরেজ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। ভারতের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কয়েকটি অভিযানের বিভিন্ন ফুটেজসহ তথ্যউপাত্ত প্রদর্শন করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এসব ভিডিও ফুটেজের পাশাপাশি একটি স্টিল কোলাজ ছবিও এ সময় দেখানো হয়, যাতে রয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া কিছু সামরিক যন্ত্রপাতি। এর ক্যাপশনে বলা হয়, ‘পাকিস্তানি মিরেজ…ছিন্নভিন্ন।’ খবর এনডিটিভির।
এর মাধ্যমে দেখানো হলো ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের একটি মিরেজ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। তবে ভারতের বিমান বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
নয়াদিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারতের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা। গত ২২ এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের ‘জবাব’ দিতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। ৭ মের ওই হামলার কোড নেম ছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত দাবি করে পেহেলগাম হামলার সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা জড়িত ছিল।
আজ সোমবারের (১২ মে) যৌথ ব্রিফিংয়ের নেতৃত্ব দেন ভারতের মিলিটারি অপারেশন্স দপ্তরের মহাপরিচালক লে. জেনারেল রাজিব ঘাই, বিমান বাহিনীর অপারেশন্স দপ্তরের মহাপরিচালক এয়ার মার্শাল এ কে ভারতি ও নৌবাহিনীর অপারেশন্স দপ্তরের মহাপরিচালক ভাইস এডমিরাল এ এন প্রমোদ।

৭ মে মধ্যরাতের পরপরই ২৫ মিনিটের ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করা হয়। ভারতের ভাষ্য অনুযায়ী এর লক্ষবস্তু ছিল নয়টি সন্ত্রাসী অবস্থান। এর মধ্যে চারটি ছিল পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে এবং পাঁচটি লক্ষ্যবস্তু ছিল পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের তথ্যানুযায়ী এই অপারেশনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত লস্কর-ই-তৈয়্যবা, জোশ-ই-মোহাম্মদ এবং হিজবুল মোজাহিদিনের বেশ কয়েকটি অবকাঠামো ধ্বংসের পাশাপাশি ১০০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়।
ভারতের এই হামলার পর পাকিস্তান ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থানে বেশকিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
ভারত জানায়, পাকিস্তানের হামলায় উধামপুর, আদমপুর, পাঠানকোট ও ভুজ শহরে সীমিতমাত্রার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই হামলায় ফিরোজপুর, পাঞ্জাব, রাজৌরি এবং জম্মু ও কাশ্মীরে হতাহতের ঘটনাও ঘটে।