কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলি

কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ এপ্রিল) গভীর রাতে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ২৬-২৭ এপ্রিল রাতে পাকিস্তান সেনারা অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিনা উসকানিতে গুলি ছোড়া শুরু করে। ভারতীয় সেনারা হালকা অস্ত্র ব্যবহার করে কার্যকরভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে।
অন্যদিকে, চীনের সংবাদসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, কোনো প্ররোচনা ছাড়াই নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চালাতে শুরু করে ভারতীয় সেনারা, পরে পাকিস্তানও পাল্টা গুলি চালিয়ে জবাব দিয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। এ ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে চিরবৈরী ভারত। যদিও হামলার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে শুরু করেন।
চলমান উত্তেজনা নিরসনে দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দেশদুটির মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
পাশাপাশি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এই উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।