পাপুয়া নিউ গিনিতে ভূমিধস, শতাধিক নিহতের শঙ্কা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/05/25/paapuyyaa-niu-gini-thaamb.jpg)
দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনিতে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় আজ শনিবার (২৫ মে) দুর্গম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকর্মীরা। রাশি রাশি কাদা আর জঞ্জালের নিচে চাপা পড়া লোকজনের মরদেহ উদ্ধারে গ্রামবাসীকে সহায়তা করার জন্য কাজ শুরু করেছে তারা। ধারণা করা হচ্ছে কয়েকশ লোক কাদামাটির নিচে চাপা পড়ে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে। খবর এএফপির।
গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টার দিকে দেশটির এনগা প্রদেশের দুর্গম এলাকায় ঘুমন্ত গ্রামবাসীর ওপর পাহাড়ের অংশবিশেষ ধসে পড়ে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এই তথ্য দিয়েছেন।
এনগা প্রদেশটির একজন স্থানীয় নেতা আজ শনিবার এ বিষয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় চাপা পড়া মৃতদেহ উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছি। ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় তিনশ লোকের চাপা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এদিকে, জাতিসংঘ ও রেডক্রস জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা একশ ছাড়িয়ে যাবে। তবে তারা জানান, উদ্ধার কাজ চালাতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এমন অনেক বাড়িঘর রয়েছে যেখানে কখনো পৌঁছানো যাবে না। ঘটনাস্থলে ৬০টিরও বেশি বাড়িঘরে লোকজন বসবাস করতো। এখন পর্যন্ত চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই গ্রামটিতে তিন হাজার ৮০০ লোক বসবাস করতো।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/05/25/paapuyyaa-niu-gini-einaar.jpg)
জাতিসংঘের কর্মকর্তা সেরহান একটোপ্রাক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঘটনাস্থলের মাটি এখনও খুব পিচ্ছিল এবং নড়াচড়া করছে। তাই উদ্ধারকাজ খুবই বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। ভূমিধসে গাড়ির সমান একেকটি খন্ড উপর থেকে নেমে আসছে যাতে গাছপালাও উপড়ে যাচ্ছে।’
সাহায্য সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই দুর্যোগে একটি গ্রামের সব গবাদিপশু, শস্য ও ফলের বাগান এবং পরিষ্কার পানির সব উৎস ধ্বংস হয়ে গেছে।
উদ্ধারকর্মী হিসেবে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে মেডিকেল কর্মী, সামরিক বাহিনীর সদস্য ও পুলিশের লোকজন। আজ তারা বিপজ্জনক গিরিখাদ ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাস্তা পেরিয়ে উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ওই পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে এই পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।