ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র বিজয়ী ওয়াসিম কাদির কি যোগ দিলেন নওয়াজের দলে?
পাকিস্তানে নির্বাচনের ফল আসার আগে থেকেই সরকার গঠন নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিত ছিল যেন দুটি দল। জোট গঠন নিয়ে এরইমধ্যে বেশ দৌড়ঝাপ করছে তারা। পিছিয়ে ছিল না কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফও (পিটিআই)। যদিও এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারেনি তারা। স্বতন্ত্র লড়েই বিজয়ের সংখ্যায় স্থান করে নিয়েছে প্রথম। যদিও সেখানে ফাটলের আলামত দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। কারণ, এরইমধ্যে দলটির সমর্থনে স্বতন্ত্র পদে বিজয়ী ওয়াসিম কাদির লাহোরের (এনএ-১২১) একটি আসন থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দলে যোগ দিয়েছেন বলে চাউর হয়েছে নেট দুনিয়ায়। যদিও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পিটিআইয়ের মন্তব্য জানা যায়নি। আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ডন তাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
পিএমএল-এন ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিও শেয়ার দেওয়া হয়েছে। সেই ভিডিওতে ওয়াসিম কাদিরকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আমার ঘরে ফিরেছি।’ পিএমএল-এনের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যদিও ওয়াসিম পিএমএল-এনে যোগ দিয়েছেন তা বলতে শোনা যায়নি।
শুরুতে পিএমএল-এনের এক্স হ্যান্ডলে এই ভিডিও শেয়ার করে ওয়াসিম কাদিরকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থিত বিজয়ী স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে, কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ডিলিট করা হয়। পরে নতুন করে ভিডিও শেয়ার দিয়ে ওয়াসিম কাদিরকে শুধু স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘জাতীয় পরিষদ নির্বাচনি এলাকা এনএ-১২১ লাহোর থেকে বিজয়ী স্বতন্ত্রপ্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান মুসলিম লীগে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন।’
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে ভোটগ্রহণ হয়। এরমধ্যে একটি আসনে ফলাফল স্থগিত আছে। আর বাকি ২৬৪ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪ ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারী ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট হয়েছে। একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন।