বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধ জাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড বিমানবাহী রণতরী যাত্রাবিরতির জন্য নরওয়ের অসলোতে পৌঁছেছে। এই পদক্ষেপে ক্ষুব্দ  প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া, করেছে সমালোচনাও। এটিকে শক্তি প্রদর্শন হিসেবে মন্তব্য করে বলেছে— এই পদক্ষেপ ‘অযৌক্তিক ও ক্ষতিকারক’।

নরওয়ের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পরমাণু শক্তি চালিত ৩৩৭ মিটার দীর্ঘ জাহাজটি কঠোর নিরপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে অসলো ফজর্ডে (বড় খাল) রয়েছে। জাহাজটি সামরিক মহড়ার জন্য আর্কটিকের উদ্দেশে যাত্রার আগে বেশ কয়েকদিন সেখান অবস্থান করবে।

ইউএস ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ ১২ এর কমান্ডার এরিক জে এসলিচ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আর্কটিক, উত্তর আটলান্টিক অঞ্চল সুরক্ষিত ও স্থিতিশীল রাখার অব্যাহত প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে কৌশলগত অংশীদার নরওয়ে, যা বিশ্ব শৃঙ্খলার জন্য মঙ্গলজনক।’

নরওয়ের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিমানবাহী এই রণতরীর আগমন ও অবস্থান আমাদের সহযোগিতা বিকাশে এবং আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করবে।’

নরওয়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বজর্ন অ্যারিল্ড গ্র্যাম বলেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুনির্দিষ্ট অভিব্যক্তি এবং এটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।’

নরওয়েতে মার্কিন এই রণতরীর আগমনের ঘটনায় দেশটির রুশ দূতাবাস নিন্দা জানিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা ও রাশিয়ার মধ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যে যুদ্ধ জাহাজটি সেখানে পৌঁছাল।

রুশ দূতাবাসের মুখপাত্র তিমুর চেকানোভ ইমেল বার্তায় এএফপিকে বলেন, ‘নর্থে যৌথ কোনো ইস্যু নেই, যার জন্য সামরিক সমাধানের প্রয়োজন আছে বা এমন কোনো ইস্যু নেই, যার জন্য বাইরের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।’

তিমুর চেকানোভ ইমেল আরও বলেন, ‘অসলো স্বীকার করে রাশিয়া নরওয়ের জন্য সরাসরি সামরিক হুমকি নয়। তবে, এই ধরনের শক্তি প্রদর্শন অযৌক্তিক এবং ক্ষতিকার বলে মনে হচ্ছে।’

ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড নরওয়েতে বেশ কয়েকদিন অবস্থান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাহাজটি সর্বোচ্চ ৯০টি বিমান ও হেলিকপ্টার পরিবহণ করতে পারে।