ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরটির নেগ্রিমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শিলং সিভিল হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করে তাঁকে নর্থ ইস্ট ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতাল স্থানান্তরের সময় সালাহ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে ভারত সরকারের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। পাশাপাশি দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন তিনি।

শিলং সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসকরা সালাহ উদ্দিন আহমেদের চিকিৎসার জন্য একটি বোর্ড গঠন করে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেগ্রিমস হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি। 

আজ বিকেলে শিলং থেকে মোবাইল ফোনে এনটিভি অনলাইনকে আবদুল লতিফ জনি বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদ কিডনি, চর্মরোগ ও প্রোস্টেটের কিছু সমস্যায় ভুগছেন। শিলং সিভিল হাসপাতালে এসব সমস্যার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁর জন্য একটি বোর্ড গঠন করেন। সেই বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে নর্থ ইস্ট ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।’

সালাহ উদ্দিনের শারীরিক অবস্থা এখনো ভালো নয় জানিয়ে আবদুল লতিফ জনি জানান, তিনি এখনো ঠিকমতো দাঁড়াতে পারেন না। 

ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছেন কি না জানতে চাইলে জনি বলেন, ‘শিলং সিভিল হাসপাতালে খাবার-দাবারের ব্যাপারে বেশ কড়া।  সেখানে বাইরের কোনো খাবারই ভেতরে নেওয়া যায় না। চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের হাসপাতাল থেকেই খাবার সরবরাহ ও তদারকি করা হয়।’

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জনি জানান, তিনি সুস্থ এই ছাড়পত্র চিকিৎসকরা দিলেই মামলাটি আদালতে উঠবে। তিনি বলেন, ‘এরপর ভারতের আইন অনুসারে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন যে তাঁকে ভারতের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেবেন কি না। এর আগ পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। কারণ সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ছাড়পত্র তো আর চিকিৎসকরা দিতে পারবেন না, ওটা দেবেন আদালত।’

গত ১২ মে থেকে সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সালাহ উদ্দিন।  এর আগের দিন শিলংয়ের এক জায়গা থেকে উদ্ধার করে একটি মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এদিনই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করায় ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে মেঘালয় পুলিশ।

গত ১০ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর পরিবার ও দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।