ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পুলিশের হেফাজতে থাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে শিগগিরই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে না। ভারতে অবৈধ প্রবেশ ও চলমান চিকিৎসাই এর কারণ বলে জানিয়েছে মেঘালয়ভিত্তিক দৈনিক শিলং টাইমস।

খুব দ্রুত সালাহ উদ্দিনকে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় মেঘালয় পুলিশ। তবে তার আগে শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করতে হবে, এরপরই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন বলে শিলং টাইমস জানিয়েছে।

যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যম ভারতীয় সামীন্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শিগগিরই এ বিএনপি নেতাকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের হাতে তুলে দেবে বলে জানিয়েছে।

গত ১২ মে সালাহ উদ্দিনকে সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন তাঁকে উদ্ধার করে একটি মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিনই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করায় ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে মেঘালয় পুলিশ।

ফরেনার্স আইনে বিশেষজ্ঞ মেঘালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শিলং টাইমসকে বলেন, আদালতে হাজির করার পর বিএনপি নেতাকে বিচারিক হেফাজতে নেওয়া হতে পারে। এর অর্থ তাঁকে কারাগারে যেতে হবে।

আইনজীবী জানান, ভারতে অবৈধ প্রবেশের সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর কারাদণ্ড। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে সরকার তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করলে আদালত বিষয়টি যাচাই করে দেখবেন।’ 

মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক রাজীব মেহতা বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলেই বাংলাদেশি এ রাজনীতিককে আদালতে তোলা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি দ্রুতই তিনি ছাড়া পাবেন। কারণ শিলং ও গারো পাহাড়ে আমাদের অন্য ডিউটি রয়েছে।’

রাজ্যের পুলিশপ্রধান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত, আমরা তাঁকে আদালতে হাজির করব। আর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোনো নির্দেশনা আসে তাহলে সেটা আদালতে জানাব।’ তিনি জানান, সিঙ্গাপুরে তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে যে দাবি উঠেছে সেটা কেবল বাংলাদেশের মাটি থেকেই সম্ভব।