৪০ বছরে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমেছে ৫৮ শতাংশ
১৯৭০ সালের পর থেকে চার দশকে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা ৫৮ শতাংশ কমেছে বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
জুলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডন (জেএসএল) ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশনের (ডব্লিউডব্লিউএফ) ‘লিভিং প্লানেট অ্যাসেসমেন্ট’ নামে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে মেরুদণ্ডী প্রাণীর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশে কমে যেতে পারে।
সংগঠন দুটির হিসাবে বন্যপ্রাণীর তালিকায় জলাভূমি, মরুভূমি, স্থলে থাকা সব প্রাণীকেই ধরা হয়েছে।
ওই হিসাব অনুযায়ী, বিভিন্ন হ্রদ, নদী ও জলাভূমিতে থাকা প্রাণীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আশ্রয়স্থল হারানো, বেচাকেনা, দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যপ্রাণী কমেছে বলে পর্যালোচনায় দাবি করা হয়েছে।
ডব্লিউডব্লিউএফের বিজ্ঞান ও নীতিবিষয়ক প্রধান ড. মাইক ব্যারেট বলেন, বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা হ্রাস পেতেই থাকবে। কিন্তু এটাকে কোনো অবস্থাতেই চলতে দেওয়া যায় না।
তবে সংগঠন দুটির প্রতিবেদনে যে প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন।
‘দ্য লিভিং প্লানেট রিপোর্ট’ নামে প্রতিবেদনটি প্রতি দুই বছরে একবার প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনে বিশ্বে বন্যপ্রাণীর প্রকৃত অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়।