সেনাবাহিনীর ওপর ভরসা আছে, হামলাকারীরা শাস্তি পাবে
কাশ্মীরের জনগণকে রক্ষা করার দায়িত্ব ভারত সরকারের বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনীর ওপর ভরসা আছে। হামলাকারীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে।
আজ রোববার জনগণের সঙ্গে কথা বলার নিয়মিত রেডিও অনুষ্ঠান ‘মান কি বাতে’ এসব কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় কাশ্মীরের উরির সেনাঘাঁটিতে এক সন্ত্রাসী হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৭ জন সৈনিক নিহত হন। মারাত্মকভাবে আহত হন কমপক্ষে আরো ২০ জন।
এই ঘটনার উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘দোষী ব্যক্তিরা অবশ্যই সাজা পাবেন। আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর আমার ভরসা আছে। তারা তাঁদের শক্তির সর্বোচ্চ প্রয়োগ করবেন। আমাদের সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব। সেনারা মুখে কথা বলেন না, তাঁরা তাঁদের বীরত্ব দেখান। আজ আমি কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে বিশেষভাবে কথা বলতে চাই, কাশ্মীরের নাগরিকরা দেশবিরোধী শক্তিকে ভালোভাবে বুঝতে শুরু করেছেন। সত্যকে বুঝতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে এসব থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে শান্তির পথে চলতে শুরু করেছেন তাঁরা। শান্তি, একতা ও সদভাবনার মাধ্যমেই আমাদের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এই পথেই আমাদের প্রগতি আসবে, উন্নতি আসবে।’
মোদি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে আলোচনা করে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। সেই সঙ্গে কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো দৃষ্টান্তও সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।’
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানপন্থী সন্ত্রাসীরা এই উরি হামলার সঙ্গে জড়িত হিসেবে চিহ্ণিত হওয়ায় এবার পাকিস্তানকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ভারত। পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
আজকের বক্তব্যে মোদি বলেন, ‘কাশ্মীরের জনগণ এখন দেশবিরোধীদের চিনতে শুরু করেছেন। সেখানকার অভিভাবকরা চান যেন স্কুল-কলেজগুলো দ্রুত খুলে যায়।
তাঁদের উৎপাদিত পণ্য যেন ভারতের প্রতিটি অংশে পৌঁছে যায় তা চান কাশ্মীরের জনগণ। সবাই চান তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্য যেন ঠিকমতো চলে।’