ইইউ ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার পক্ষে মত দিয়েছে যুক্তরাজ্যের জনগণ। গণভোটের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের কোনো প্রতিনিধি ছাড়াই ইইউ নেতাদের বৈঠক হবে আগামী বুধবার। যুক্তরাজ্যকে দ্রুত সংগঠন ছেড়ে যাওয়ার আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে ইইউ।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে অবশ্যই ইউইয়ের লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ তুলে ধরা হবে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংগঠন ছেড়ে যেতে দুই বছর আলোচনার সময় পাওয়া যাবে।
ব্রেক্সিট শব্দটি দিয়ে যুক্তরাজ্যের ইউরো ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে সংক্ষেপ করা হয়েছে। আর ইউয়ে যুক্তরাজ্যে থাকার পক্ষের বিষয়টি সংক্ষেপে বলা হয় ইউকিপ। যুক্তরাজ্যের গণভোটে ৫২ শতাংশ জনগণ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেন। আর ৪৮ শতাংশ মানু ভোট দেন ইউকিপের পক্ষে।
ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এমনটিক ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্তই এলে তিনি পদত্যাগ করারও হুঁশিয়ারী দেন। গণভোটের পর পরই নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন তিনি। আগামী অক্টোবরে তাঁর পদত্যাগ কার্যকর হবে। ইইউ ছাড়ার আলোচনা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর জন্য রেখে যেতে যান ক্যামেরন।
অবশ্য ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জ্যঁ ক্লদ-ইয়ুংকার অবশ্য ক্যামেনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। তিনি চান যত দ্রুত সম্ভব ইইউ ছাড়ার আলোচনা শুরু করুক যুক্তরাজ্য। জ্যঁ ক্লদ-ইয়ুংকার বলেন, গতদিন তারা (যুক্তরাজ্য) সংগঠন ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আক্টোবর পর্যন্ত অলোচনার শুরুর জন্য বসে থাকা অর্থহীন। দ্রুত আলোচনা শুরুর পক্ষে জোর দেন জ্যঁ ক্লদ।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, গণভোটের পরও গুগলের অনুসন্ধাণে যুক্তরাজ্যের ইইউয়ে না থাকার ফলাফলের বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি খুঁজছেন দেশটির নাগরিকরা। তবে এর প্রভাব এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্তের পর পরই বৈশ্বিক স্টক মার্কেটে পাউন্ডের দাম নাটকীয়ভাবে কমে গেছে।