ব্রেক্সিটে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ব্রিটিশ পর্যটকরা
ইউরোপে এতদিন ব্রিটেনবাসীদের অবাধ বিচরণ ছিল। কিন্তু এবার বুঝি সেই দিন শেষ হতে চলল। ব্রিটেনে গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসা বা ব্রেক্সিটের পক্ষে রায়ের পর এখন ব্রিটিশ পর্যটকদের ইউরোপের অন্যান্য দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে পড়তে হবে নানা অসুবিধায়।
এরই মধ্যে এই ভ্রমণ মৌসুমে যে লাখ লাখ ব্রিটিশ ছুটি কাটানোর জন্য ইউরোপের অন্যান্য দেশে ভ্রমণে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তাঁরা পড়েছেন বিপাকে। দীর্ঘমেয়াদি আরো অনেক বড় পরিবর্তন হতে পারে।
স্বল্প মেয়াদে বছরের পর বছর ধরে পাউন্ড স্টার্লিং দরপতনের দিকে থাকবে। এ কারণে প্যারিসের একটি ক্যাফেতে এক কাপ কফি খাওয়া থেকে শুরু করে মালদ্বীপের হোটেলে রাত্রিযাপন সবকিছুতে খরচ বাড়বে।
খরচ বৃদ্ধির এই মাত্রা নির্ভর করছে গণভোটের আগে পাউন্ডের দরের মাত্রার ওপর। সরকারি কোষাগার পূর্বাভাস করেছিল, ইইউ থেকে বেরিয়ে এলে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দরপতন হবে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। ইউরো ও ডলারের বিপরীতে হবে এই দরপতন।
দি ইনডিপেনডেন্টের তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক অর্থবাজারে ইউরো এবং পাউন্ডের দরের অনুপাত খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একক মুদ্রা এলাকা স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ও গ্রিস দ্বীপপূঞ্জে বেশির ভাগ ব্রিটিশ নাগরিক অবকাশযাপনের জন্য যান।
এ ছাড়া ব্রিটিশ নাগরিকরা ইউরোপে ঘুরতে না গেলেও অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও ইউরো এবং ডলারের দরের অনুপাত খুব গুরুত্বপূর্ণ। তেলের মূল্য ওঠা-নামায় ডলারের মূল্য নির্ধারণ হয়। সুতরাং পাউন্ডের ১২ শতাংশ দরপতনে পেট্রল, ডিজেল ও বিমানের জ্বালানির দামও বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও ইজিজেটের বিমান ভাড়াও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এরই মধ্যে পাউন্ডের বিপরীতে ইউরো শক্তিশালী এবং জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে পর্যটক ব্যবস্থাপকদের সংগঠন ‘আবতা’ পর্যটন কোম্পানিগুলোকে পর্যটকদের কাছ থেকে সারচার্জ (অধিশুল্ক)আদায়ের অনুমতি দিয়েছে।