ইইউতে থাকছে না যুক্তরাজ্য
ইউরোপের ২৮ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকা না-থাকা নিয়ে গণভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইইউ ছাড়ার পক্ষেই বেশি ভোট পড়েছে। ঐতিহাসিক এ গণভোটের মাধ্যমে প্রথম কোনো দেশ হিসেবে ইইউ ছাড়ছে যুক্তরাজ্য।
বিবিসির অনলাইনে প্রকাশিত সর্বশেষ ফল থেকে জানা যায়, ইইউ ছাড়ার পক্ষে (ব্রেক্সিট) ভোট পড়েছে ৫১ দশমিক ৯ শতাংশ। ভোট দিয়েছেন এক কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪২ জন। আর ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ। মোট ভোট দিয়েছেন এক কোটি ৬১ লাখ ৪১ হাজার ২৪১ জন।
ইইউতে থাকা না-থাকা নিয়ে ভোট শুরু হয় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায়। ভোট শেষ হয় রাত ১০টায়। এর পরপরই বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা শুরু হতে থাকে।
ভোটের ফল ঘোষণার সময় থেকেই ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দরপতন শুরু হতে থাকে। ১৯৮৫ সালের পর বর্তমানে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দাম সবচেয়ে কম।
যুক্তরাজ্যের ইনডিপেনডেন্ট পার্টির (ইউকেআইপি) নেতা নাইজেল ফারাজ দিনটিকে ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তবে ইইউতে থাকার পক্ষের লোকজন ঘটনাটিকে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে আখ্যা দেন।
এই গণভোট আহ্বান করা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে পদত্যাগের আহ্বান জানান নাইজেল ফারাজ। তিনি বলেন, ভোটে হারার পর ক্যামেরনের উচিত দ্রুত পদত্যাগ করা।
আরেক বিরোধী দল লেবার পার্টির একটি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, ‘আমরা যদি ইইউ ছাড়ার পক্ষে ভোট দিই, তাহলে ক্যামেরনকে নিজের অবস্থানের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।’
এদিকে ইইউ ছাড়ার পক্ষে থাকা ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের প্রভাবশালী সদস্য লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন এবং মাইকেল গোভ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, ফল যা-ই হোক, ক্যামেরনের উচিত স্বপদে থাকা।