পাপুয়া নিউগিনিতে ছাত্র বিক্ষোভে গুলিবর্ষণ, কয়েকজন আহত
পাপুয়া নিউগিনিতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কয়েক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পিটার ও’নেইলের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।
স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টার দিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে রাজধানী পোর্ট মোর্সবির পার্লামেন্ট হাউসের উদ্দেশে যাত্রা করে। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পিটার ও’নেইলের ক্ষমতাচ্যুতের বিষয়ে ভোট হওয়ার কথা।
দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী পিটার ও’নেইলের পদত্যাগ দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে প্রধানমন্ত্রী এতে অস্বীকৃতি জানান।
বিবিসির সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশের গুলিবর্ষণ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে সরে যায়।
পোর্ট মোর্সবির চিকিৎসা কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, পুলিশের গুলিবর্ষণে অন্তত আহত ১০ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ছবিতে আহত শিক্ষার্থীদের বয়ে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই পাপুয়া নিউগিনিতে রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী পিটার ও’নেইলের পদত্যাগের দাবিতে ইউনিভার্সিটি অব পাপুয়া নিউগিনির কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস গত মাসেই বন্ধ করা হয়েছে।
গত মে মাসে শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের আহ্বানে সাড়া না দেওয়ার কথা জানান পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী পিটার ও’নেইল। তাঁর দাবি, দুর্নীতির দাবি পুরোপুরি রাজনৈতিক।
২০১২ সালের ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাপুয়া নিউগিনি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পিটার ও’নেইলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। এ অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে এখনো ওই পরোয়ানা কার্যকর হয়নি। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাপুয়া নিউগিনির ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।