অবশেষে ভারতে নিষিদ্ধ হলো ফেনসিডিল

সেই ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে ভারতীয় কাশির সিরাপ বলে পরিচিত ওষুধ ফেনসিডিল নিষিদ্ধ হয়েছিল। এরপরও বাংলাদেশে নেশার জগতে একটি আলোচিত নাম ছিল এই ফেসসিডিল। ওষুধটিতে নির্ধারিত মাত্রার উপরে ‘কোডেইন’ উপাদান থাকার কারণে ওষুধটি পান করে নেশা করতেন মাদকসেবীরা।
আশির দশক থেকেই ভারত থেকে বাংলাদেশে এই বিশেষ সিরাপটি পাচার হয়ে আসতে থাকে। এবং এই সিরাপটি পান মাদকাসক্তদের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বহুবার ফেনসিডিল উৎপাদন নিষিদ্ধের জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু এই অনুরোধে কাজ হয়নি কখনো। উপরন্তু এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সীমান্তে নকল ফেনসিডিলের কারখানা স্থাপন করে এই সিরাপ পাচার করতে থাকে।
অবশেষে গতকাল ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে এই প্রথমবারের মতো ৩৫০টি ওষুধসহ ফেনসিডিলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, জনপ্রিয় কাশির সিরাপ ফেনসিডিল এবং কোরেক্স –এ ভারতীয় মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি কোডেইন উপাদান আছে। তাই এখন থেকে এসব ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করা যাবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে আরো বলা হয়েছে, কোডেইন উপাদানের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক হয়ে থাকে। মস্তিষ্কসহ সারা দেহেই এটি ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম। অথচ যেকোনো জায়গায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের লিখিত নির্দেশনা ছাড়াই পাওয়া যেত ওষুধগুলো।
সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এরই মধ্যে নিষিদ্ধের ঘোষণা অনুমোদন করেছেন। আগামীকাল সোমবার নাগাদ তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।