পরিবেশ সচেতনতায় ‘নাকের লোম’ ভিডিওচিত্র
নাকের লোম একটু বড় ও দৃশ্যমান হলেই সবাই আস্বস্তিতে পড়ে। দ্রুত ছেটে ফেলে তা ভদ্র রূপ দেওয়া হয়। এবার ভেবে দেখুন নাকের লোম বড় হয়ে চুলের রূপ নিয়েছে। কিন্তু এর পরও মানুষ মোটেই অস্বস্তিতে পড়ছে না। বরং নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি যেন ফ্যাশন। চুলের মতো নাকের লোম নিয়ে গর্ব করছে সবাই। বাস্তবে নয় পরিবেশ সচেতনতামূলক এক ভিডিওচিত্রে এমন দেখানো হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, চীনের বায়ু প্রচণ্ড দূষিত। এই নিয়েই সচেতনতামূলক এক ভিডিওচিত্র তৈরি করেছে পরিবেশবাদী সংস্থা ‘ওয়াইল্ডএইড’। ভিডিওচিত্রে দেখানো হয়েছে, ভবিষ্যতে চীনের মানুষ বায়ুদূষণে কীভাবে খাপ খাইয়ে নেবে। আর এ ক্ষেত্রে তারা তুলে ধরেছে মানুষের নাকের মধ্যে থাকা লোমের প্রাকৃতিক বায়ুশোধন ব্যবস্থা।
ওয়াইল্ডএইডের ভিডিওচিত্রে দেখানো হয়, ভবিষ্যৎ চীনের কোনো শহরের বাতাস হবে প্রচণ্ড দূষিত। এমন পরিবেশে স্কুলে খুদে শিক্ষার্থীদের নাকের লোম ঝুলে থাকবে। রাস্তাঘাট, রেস্টুরেন্ট, খেলার মাঠ সব স্থানেই দীর্ঘ নাকের লোম থাকা মানুষ দেখা যাবে। নারী ও পুরুষ কেউই অপরের দীর্ঘ নাকের লোম নিয়ে লজ্জা পাবে না। বরং এমন সমাজে নাকের লোমবিহনী মানুষটিই বেমানান। তবে এক চীনা তরুণ সমাজের এমন চিত্র মেনে নিতে পারে না। সে নাকের লোম রাখে না। তরুণটি কল্পিত চীনা শহরের প্রতিটি মানুষের কাছে বিস্ময়ের পাত্র হয়। এমনকি দীর্ঘ নাকের লোমের রাস্তার কুকুরও ওই তরুণকে দেখে তেড়ে আসে। তবে ওই তরুণ আগের নীল আকাশের কথা চিন্তা করতে ভালোবাসে।
ওয়াইল্ডএইডের চীনা প্রতিনিধি মেই মি বলেন, অতি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বায়ুদূষণের কথা তাঁরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আর বিশ্লেষকদের মতে, চীনের আশঙ্কাজনক বায়ুদুষণের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে ওয়াইল্ডএইড।