কলকাতার মেলায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আটকে রাখার অভিযোগ
বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যবসায়ীদের জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল কলকাতার বিধাননগরের ২৮তম আন্তর্জাতিক শিল্প-বাণিজ্য মেলা কমিটির বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, গতকাল সোমবার বিকেল থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাঁদের মেলা প্রাঙ্গণে মালামালসহ আটকে রাখা হয়। ৭০ জনের মতো ব্যবসায়ী এই হয়রানির শিকার হন। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে তাঁদের যেতে দেওয়া হয়।
ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সোমবার বিকেলে কলকাতার অভিজাত এলাকা বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গণে ২৮তম আন্তর্জাতিক শিল্প-বাণিজ্য মেলা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মেলার সময় আরো দুদিন বাড়িয়ে বুধবার পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। মেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্যবসায়ীদের চাপে পড়ে তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মেলায় স্টল দেওয়া ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর মেলায় বিক্রিবাট্টা ভালো নয়। স্টলের খরচ ওঠানোই মুশকিল হয়ে যাবে। এ কারণেই ব্যবসায়ীরা দুদিন সময় বাড়ানোর আবেদন জানান।
তবে দুদিন সময় বাড়ানোর ঘোষণায় বেঁকে বসেন মেলায় আসা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। তাঁরা মেলা কমিটিকে জানিয়ে দেন, বাড়তি দুদিন তাঁরা আর মেলায় থাকতে চান না, তাঁরা চলে যাবেন।
এর পরেই শুরু হয় দুই পক্ষের চাপানউতর। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মেলা ছাড়তে বাধা দেয় মেলা কর্তৃপক্ষ। স্টল থেকে তাঁদের মালামাল বের করতে দেওয়া হয়নি। ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেক নারী সদস্য ছিলেন। তাঁদেরও অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে ২৮তম আন্তর্জাতিক শিল্প-বাণিজ্য মেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে স্টল বরাদ্দ বাবদ টাকা বকেয়া ছিল, তাই তাঁদের সাময়িক আটকে রাখা হয়। ব্যবসায়ীদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে চলে যেতে বলা হয়। পরে বিষয়টি সমঝোতা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে হিমাংশু মিত্র জানান, মেলা কমিটির এজেন্ট কবির চৌধুরীকে (ঢাকার বাসিন্দা) বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে স্টল বরাদ্দ বাবদ ব্যবসায়ীরা আগেই টাকা দিয়েছেন। কিন্তু কবির চৌধুরী সেই টাকা মেলা কমিটিকে দেননি। ফলে এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরে রাতে কবির চৌধুরী টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এর পর বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ছাড়া হয়।
কবির চৌধুরীই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কলকাতার মেলায় নিয়ে আসেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।