অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড, কেরিকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি
লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে চিঠি দিয়েছেন দেশটির প্রভাবশালী ছয়জন কংগ্রেসম্যান। গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া চিঠিতে তাঁরা অনুরোধ করেন, দোষীদের খুঁজে বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশকে যেন সব রকম সাহায্য করেন কেরি।
চিঠি পাঠানো ছয় কংগ্রেসম্যান হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার মাইক হোন্ডা, অ্যামি বেরা, এড রয়েস, নিউইয়র্কের ইলিয়ট এঙ্গেল ও গ্রেস মেঙ এবং ওহাইওর স্টিভ শ্যাবট। তাঁরা বলেছেন, ‘আমেরিকান লেখক ড. অভিজিৎ রায়কে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় তাঁরা গভীর উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন।’
‘মুক্ত চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার’ পক্ষে নিজেদের অবস্থানের কথা চিঠিতে ব্যক্ত করেন কংগ্রেস সদস্যরা। তাঁরা বলেন, ‘মার্কিন দূতাবাস ও পররাষ্ট্র দপ্তরকে অবশ্যই এ বিষয়ে যুক্ত হতে হবে, অভিজিৎ রায়ের খুনিদের ধরে বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং বাংলাদেশে যেন ধর্মনিরপেক্ষ লেখকদের হুমকির ব্যাপারগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
জিনিউজ জানিয়েছে, চিঠি পাঠানো প্রসঙ্গে কংগ্রেসম্যান মাইক হোন্ডা বলেছেন, ‘চরমপন্থার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতেই আমাদের এই চিঠি। একই সঙ্গে মুক্ত চিন্তা ও বাকস্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আইনের আওতায় বিচারের দাবিতেই আমাদের এই চিঠি।’
আরেক কংগ্রেসম্যান অ্যামি বেরা তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ‘অভিজিৎ রায় যে মৌলিক বাকস্বাধীনতার কথা বলেছেন, তা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশকে একযোগে কাজ করতে হবে। অভিজিৎ রায়কে হত্যার জন্য যারা দায়ী, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে কাজ করার জন্য আমি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও মার্কিন দূতাবাসকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অজ্ঞাত খুনির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারা যান অভিজিৎ রায়, গুরুতর আহত হন তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। বন্যাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার রাতে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যায় সে দেশের সরকার। এই দম্পতি মার্কিন নাগরিক হওয়ায় তাঁর চিকিৎসার সব দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র সরকারই বহন করছে।