রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার করবে না টুইটার
এখন থেকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের সুবিধা থাকছে না বিশ্বের অন্যতম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘অর্থের বিনিময়ে’ রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচার করা যাবে না।
টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডোরসি এক টুইট বার্তায় বলেন, বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ইন্টারনেটভিত্তিক বিজ্ঞাপন ব্যাপক শক্তিশালী ও খুবই কার্যকর। তবে এর ফলে রাজনীতিতে নানামুখী ঝুঁকিও এসে পড়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক সম্প্রতি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করবে না বলে ঘোষণা করে।
এদিকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারে টুইটারের অবস্থানের ঘোষণা আসার প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের রাজনৈতিক শিবিরগুলোতে। টুইটারের সিদ্ধান্তে দ্বিধাবিভক্ত মার্কিন নির্বাচনী শিবিরগুলো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবিরের দায়িত্বে থাকা ব্র্যাড পার্সকেল টুইটারের সিদ্ধান্তকে বিরোধী দলের চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন।
ব্র্যাড পার্সকেল বলেন, ‘এই নিষিদ্ধকরণ হলো ট্রাম্প ও রক্ষণশীলদের মুখ বন্ধ করতে বামপন্থীদের আরেকটি চেষ্টা।’
অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক দলের অন্যতম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের নির্বাচনী শিবিরের মুখপাত্র বিল রুশো বলেন, ‘বিজ্ঞাপনের জন্য ডলার খরচ করা ও আমাদের গণতন্ত্রের শক্তির মধ্যে যখন যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হয়, তখন অর্থের জোরটা এ ক্ষেত্রে হেরে গেছে। এটা উৎসাহব্যঞ্জক।’
টুইটারের এমন পদক্ষেপের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে, রাজনীতিবিদ কিংবা সংবাদকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করবে, এটা ঠিক নয় বলেই মনে করি।’
আগামী ১৫ নভেম্বর রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য প্রকাশ করবে টুইটার। আর ২২ নভেম্বর থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে।