২৫ বছরে মাতৃমৃত্যু কমেছে অর্ধেক : জাতিসংঘ
সারা বিশ্বে গর্ভকালীন জটিলতায় নারী মৃত্যুর হার কমেছে অর্ধেক। গত ২৫ বছরে এ লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থা ও বিশ্ব ব্যাংকের সমন্বিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে গত এক দশকে লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাতৃমৃত্যু ৮০ ভাগ কমানো। যা অর্জনে ব্যর্থ জাতিসংঘের সংস্থাগুলো। মাত্র নয়টি দেশ জাতিসংঘ নির্ধারিত নারী মৃত্যু হার হ্রাস সংক্রান্ত টার্গেট অর্জন করতে পেরেছে বলেও জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।
জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রজনন স্বাস্থ্য ও গবেষণা সমন্বয়ক ড. লেল সে জানান, এ প্রতিবেদন থেকে দেখা যাবে যে, ২০১৫ সালের শেষ ভাগে এসে মাতৃমৃত্যুর হার ১৯৯০ সালের পর্যায় থেকে ৪৪ শতাংশ কমে এসেছে।
ড. লেল সে বলেন, ‘এটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। বিশ্বে প্রতি লাখ সন্তান প্রসবে মাতৃমৃত্যুর হার ২১৬ জন, যা ১৯৯০ সালে ছিল ৩৮৫ জন। তবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই অগ্রগতি এক রকম নয়।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রজনন স্বাস্থ্য ও গবেষণা সমন্বয়ক আরো জানান, বিশ্বজুড়ে মোট মাতৃমৃত্যুর ৯৯ শতাংশই ঘটে উন্নয়নশীল দেশে।
যুক্তরাজ্যের চিকিৎসা জার্নাল ‘ল্যান্সেটে’তে প্রকাশিত হয়েছে এই প্রতিবেদন। সেখানে দেখা যায়, ‘২০১৫ সালে গর্ভকালীন জটিলতা ও সন্তান জন্মদানের ৬ সপ্তাহের মধ্যে সৃষ্ট জটিলতার কারণে সারা বিশ্বে তিন লাখ তিন হাজার নারীর মৃত্যু হয়েছে, যা ১৯৯০ সালের পাঁচ লাখ ৩২ হাজার মাতৃমৃত্যুর তুলনায় অনেক কম।’
২০০০ সালে জাতিসংঘ নির্ধারিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলো ২০১৫ সাল নাগাদ মাতৃমৃত্যুর হার ১৯৯০ সালের লেভেল থেকে ৭৫ শতাংশ কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছিল।
ড. লেল সে বলেন, তবে কেবল নয়টি দেশ এই লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও ৩৯টি দেশ মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে। সেখানে লাখে মাতৃমৃত্যুর হার ৯৫ থেকে ২৭ পর্যন্ত কমে এসেছে।