দায়িত্ব গ্রহণ করেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হাউস অব কমন্সে ভাষণ দেওয়ার আগেই নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ব্রেক্সিট সমর্থিত এমপিদেরই মন্ত্রিসভায় প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। বুধবার ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন সরকারের মন্ত্রী হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পেয়েছেন ডোমিনিক রাব ও প্রীতি প্যাটেল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ডোমিনিক রাব ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রীতি প্যাটেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, সাজিদ জাভিদকে নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। জেরেমি হান্টসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের মন্ত্রিসভার অর্ধেকেরও বেশি সদস্য পদত্যাগ করেছেন কিংবা বরখাস্ত হয়েছেন।

বরিস জনসনের মন্ত্রিসভা নতুন করে সাজানো হয়েছে। ব্রেক্সিট সেক্রেটারি হচ্ছেন স্টেফেন বারক্লে, ডাচি অব ল্যানচেস্টারের চ্যান্সেলর মাইকেল গোভ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী লিজ ট্রাস, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক, শিক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসন, সংস্কৃতিমন্ত্রী নিকি মরগ্যান, বাণিজ্যমন্ত্রী অ্যান্ড্রি লিডসন, কর্ম ও পেনসনমন্ত্রী অ্যাম্বার রুড এবং হাউস অব কমন্সের প্রধান জ্যাকোব রিস মগ।

বুধবার বিকেলে বাকিংহাম প্যালেসে রানি এলিজাবেথের উপস্থিতিতে দায়িত্ব নেন বরিস জনসন। তার আগে রানির সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন থেরেসা মে।

লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন ৬৬ দশমিক ৪ শতাংশ টরি সদস্যের সমর্থন পেয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। দলের প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার সদস্যের মধ্যে ৯২ হাজার ১৫৩ জন জনসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর জেরমি হান্ট পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬৫৬ সদস্যের সমর্থন।