টুইটারে নেতানিয়াহুর পক্ষে শতাধিক ভুয়া অ্যাকাউন্ট

টুইটারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পক্ষে পোস্ট দিয়ে, মন্তব্য করে ও বিতর্ক চালিয়ে যেতে শতাধিক ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। দুই ইসরায়েলি গবেষক সোমবার এমনটি দাবি করেছেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগের সপ্তাহে এই তথ্য নেতানিয়াহুকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৯ এপ্রিল দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন। ওই ভোটে নেতানিয়াহুর বিরোধী প্রার্থী মধ্যপন্থী বেনি গান্টজের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য দিয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো দিয়ে নেতানিয়াহু ও লিকুদ পার্টির পক্ষে পোস্ট দেওয়াসহ নেতানিয়াহুর অ্যাকাউন্টের পোস্টগুলোতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সমালোচনামূলক মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয় এবং বিতর্ক চালিয়ে যাওয়া হয়।
তারা এও দাবি করেছেন, যে ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো রোবট নয়, সরাসরি মানুষের মাধ্যমেই পরিচালিত হতো। তবে তারা ওই সংঘবদ্ধ চক্র ও নেতানিয়াহু কিংবা তাঁর দক্ষিণপন্থী লিকুদ পার্টির মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট যোগাযোগের প্রমাণ পায়নি।
সামাজিক মাধ্যমে মানুষের মতামতে প্রভাব বিস্তারের চর্চা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দুই গবেষক নোয়াম রটেন ও ইউভাল আদম এসব পেয়েছেন। তারা জানান, প্রায় ১৫০ অ্যাকাউন্ট ভুয়া নামে এবং কয়েকশ একেবারেই আজেবাজে নামে খোলা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২৫ লাখেরও বেশি ইসরায়েলির কাছে পৌঁছাতে পেরেছে ওই ভুয়া অ্যাকাউন্ট চক্র। পোস্টের সংখ্যার দিক দিয়ে তা এক লাখ ৩০ হাজারের মতো। যেখানে ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যা ৮৭ লাখ।
এ নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে লিকুদ পার্টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল দুর্নীতির অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা দিলে টুইটারে হাজার হাজার ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করতে দেখা যায়।
এ ছাড়া ভুয়া টুইটের জোয়ার লক্ষ করা যায় বিরোধী প্রার্থী গান্টজের দল ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর।
এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর গান্টজ এর তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি বলেন, বিরোধী এর পেছনে একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল চুরি করতে এর নেপথ্যে বড় ধরনের অর্থায়ন করা হচ্ছে।