নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন পরিবর্তনের ঘোষণা
নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
গতকাল শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পরই অস্ত্র আইনের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, দেশটির বেসামরিক মানুষের কাছে ১৫ লাখ নিবন্ধিত আগ্নেয়াস্ত্র আছে, যার মধ্যে ১৫ হাজার নিবন্ধিত আধা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল।
অস্ত্র আইন পরিবর্তনের কথা জানিয়ে আজ শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ‘নিবন্ধিত আগ্নেয়াস্ত্র ট্রেস করার কাজ চলবে। তবে একটি কথা স্পষ্ট, আমাদের অস্ত্র আইনটি পরিবর্তন হচ্ছে।’
আরডার্ন আরো বলেন, ‘এর আগে ২০০৫, ২০১২ ও ২০১৭ সালে অস্ত্র আইন পরিবর্তন করার কথা উঠেছিল, এখন সময় এসেছে পরিবর্তন করার।’
হামলার প্রধান আসামি একজন নিবন্ধিত আগ্নেয়াস্ত্রধারী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন বলেন, ‘হামলাকারী তাণ্ডব চালানোর সময় পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে দুটি আধা-স্বয়ংক্রিয় (সেমি-অ্যাটোমেটিক) ও দুটি শটগান ছিল।‘
এদিকে পুলিশ বলছে, প্রতিবছরই নিউজিল্যান্ডে আগ্নেয়াস্ত্র চুরি হয়। ২০০৫ সালে দেশটিতে ৫০৫টি আগ্নেআস্ত্র চুরি হয়েছে যা ২০১৭ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০৭ টি।
অস্ত্র আইন পরিবর্তনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নকে স্বাগত জানিয়েছেন নিউজিউল্যান্ডের পুলিশ এসোসিয়েশনের সভাপতি ক্রিস ক্যাহিল। তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের সাথে একমত।’
পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরো বলেন, ‘এটা দুঃখনজক যে, এ রকম একটি ভয়াবহ ঘটনার পর আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো। আমার প্রথম ভাবনার বিষয় ওইসব পরিবারের জন্য, যাদের পরিবারের সদস্য এ ঘটনায় নিহত ও আহত হয়েছেন। এবং আমাদের পুলিশ কর্মকর্তা, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ, যাঁরা এ ঘটনার পর অনেক সাহায্য করেছেন, তাঁদের কথাও ভাবছি।’