ভারত-বাংলাদেশের অসুরক্ষিত সীমান্তে থাকবে উন্নত প্রযুক্তি
অনুপ্রবেশকারী ও চোরাচালান বন্ধ করতে ভারত-বাংলাদেশের অসুরক্ষিত সীমান্তে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসে এ কথা বললেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে সীমান্তে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা নিতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরনগর ও দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরপর দুটি সভা করেন। এর পাশাপাশি একই দিন পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গেও পরপর দুটি সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। মূলত বিজেপি আগামী লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করে যে এখন থেকেই ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে তা স্পষ্ট। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের ফলাকাটার সভা থেকে রাজনাথ সিং বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ১০০ জনের প্রাণ গেছে। বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে খুনিদের ছাড়া হবে না বলেও হুমকি দেন তিনি।
রাজনাথ এদিন অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্র বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ আটকাতে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর জন্য জমি চেয়েছিল, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই জমি দেয়নি। ফলে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি। তাই কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্য হয়ে ভারত-বাংলাদেশের অসুরক্ষিত সীমান্তে উন্নততর প্রযুক্তির সহযোগিতায় সীমান্ত সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উন্নততর এই প্রযুক্তি কার্যকর হলে অনুপ্রবেশ বন্ধের পাশাপাশি চোরাচালান যেমন বন্ধ হবে, তেমনি পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীরা ঢোকার ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে প্রবণতা রয়েছে সেটাও এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে এলে আগামী দিনে কোনো অনুপ্রবেশকারীকে আর ভারতের মাটিতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন রাজনাথ সিং।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে তৃণমূল। অনুপ্রবেশকারীরাই তৃণমূলের ভোট ব্যাংকে পরিণত হয়েছে।
রাজনাথ দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে সোনার বাংলা গড়বেন মোদি। ২০২১ সালে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী হবে বিজেপির বলেও দাবি করেন তিনি।
রাজনাথ বলেন, সোনার বাংলাকে কাঙাল বানিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যে দারিদ্র্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পুলিশই আজ সুরক্ষিত নয়। এখানে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।