হাঁড়িতে মাথা আটকে বিপাকে চিতা
পানি পিপাসা পেয়েছিল। সাহস করে তাই বন থেকে গ্রামে প্রবেশ। এক বাড়ির পাশে রাখা হাঁড়িতে মুণ্ডু ঢুকিয়ে পানিপান। এরপরই ঘটে বিপত্তি। হাঁড়িতে আটকে গেছে বাঘ মামার মুণ্ডু। লাফালাফি করেও লাভ হচ্ছে না। হাঁড়ি থেকে বের হচ্ছে না মুণ্ডু।
urgentPhoto
না, এটা শৈশবে শোনা সে গল্প না। আজ বুধবার সকালেই ভারতের রাজস্থানের ভুতোলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। হতভাগ্য বাঘটি একটি চিতাবাঘ। ভুতোলি গ্রামের পাশেই বন। প্রায়ই বন থেকে চিতাবাঘ লোকালয়ে চলে আসে। কেবল আসে না, গবাদিপশু মুখে নিয়ে পালায়। মাঝেমধ্যে চিতা মশাইয়ের মেজাজ খারাপ থাকলে আক্রমণের শিকার হয় মানুষও।
প্রচণ্ড গরমেই পানির সন্ধানে হতভাগ্য চিতাবাঘটি লোকালয়ে চলে আসে। আর অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়িতে পানি পেয়ে তা পান করতে গিয়েই আটকে যায় বাঘটির মাথা। চিতার এ বিপদ বুঝতে পেরে ভয় ভেঙে গ্রামের বাসিন্দারা ছুটে আসে তার কাছে। গ্রামের মাটির রাস্তার ওপর লেজ ছড়িয়ে উদ্ধারের আশায় বসে আছে চিতাটি। অন্য গবাদিপশুরাও চিতার লাফালাফি থেকে পথ ছেড়ে পালিয়েছে।
কিন্তু চিতার মুণ্ডু থেকে হাঁড়ি বের করবেটা কে? সবার একটাই কথা, হাঁড়ি বের করে দিলেই যদি বাঘের গলা থেকে সেই বকের হাড় বের করে দেওয়ার মতো গল্পের পুনরাবৃত্তি ঘটে? হালুম করে শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকারীকেই গিলে ফেলবে না তো বাঘ মামা?
কিন্তু যত দেরি হবে ততই কষ্ট পাবে চিতাটি। শ্বাসকষ্টে মারাও যেতে পারে। এ কারণে গ্রামের বাসিন্দারা দ্রুত বন দপ্তরের কর্মকর্তাদের খবর দিয়েছে। আপাতত চিতাবাঘের সঙ্গে বসে গ্রামের বাসিন্দারাও অপেক্ষা করছে রক্ষাকর্তাদের!