পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন
মুম্বাইয়ে আলোচিত ৭/১১ বোমা হামলার ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। আরো সাতজনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ। পরিকল্পিত অপরাধ বিষয়ক মহারাষ্ট্রের বিশেষ আদালত এমসিওসিএ আজ বুধবার এই রায় দেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৬ সালের ১১ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ব্যস্ততম সময়ে মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। আরডিএক্স বোমগুলো প্রেসার কুকারের মধ্যে রাখা হয়েছিল। সাতটি বোমার বিস্ফোরণে দুমড়ে মুচড়ে যায় ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর কামরা। ১১ মিনিটের ওই ঘটনায় ১৮৯ জন নিহত হন। আহত হন আরো ৮০০ জন। ওই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে তাঁদের বিচারকার্যক্রম চলে। পরে একজনকে খালাস দিয়ে ১২ জনেক দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আলোচিত এই বোমা হামলার ঘটনাকে ‘৭/১১ বোমা হামলা’ বলে চিহ্নিত করা হয়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত বছরের আগস্টে ৭/১১ বোমা হামলার বিচারকাজ শেষ করে মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালত। বাদী পক্ষের উকিল অভিযুক্তদের ‘মৃত্যুর ব্যবসায়ী’ উল্লেখ করে আটজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ চেয়েছিলেন। মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালত এমসিওসিএর বিচারক ইয়াতিন সিনধে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এঁরা হলেন, এহতেশাম সিদ্দিকী, আসিফ খান, ফয়সাল শেখ, নাভিদ খান, কামাল আনসারি। অপর সাত জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কারাভোগ করবেন। কোনোভাবেই এই কারাভোগের মেয়াদ ৬০ বছরের কম হবে না।
মুম্বাই পুলিশের ভাষ্যমতে, ৭/১১ বোমা হামলার ১৫ আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি, এর মধ্যে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীও আছেন। পুলিশের অভিযোগপত্রে পাকিস্তানের কয়েকজন নাগরিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যাঁরা দেশটির জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তোইয়্যবার সদস্য।