ঝাড়খন্ডে জেএমবির সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জ্যেষ্ঠ নেতা রায়হান শেখ ওরফে সাদিক ওরফে সুমনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।
গতকাল মঙ্গলবার এনআইএ ও পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের (এটিএস) যৌথ অভিযানে ঝাড়খন্ড রাজ্যের রামগড় জেলা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এনআইএর দাবি, সুমনের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
ঝাড়খন্ড পুলিশের মুখপাত্র এস এন প্রধান বলেন, সুমনের বিষয়ে পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডকে জানায় এনআইএ।
সংস্থাটির একটি সূত্র জানায়, সুমন বর্ধমানে হামলা পরিকল্পনার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তিনি জেএমবির ভারত শাখার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ও শূরা সদস্য। বোমা হামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। তাঁকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনআইএর একজন কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, বর্ধমান বোমা বিস্ফোরণের মূল হোতা সাজিদের মতোই জেএমবির অন্যতম নেতা সুমন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে জেএমবির বিস্তার ঘটাতে চেয়েছিলেন। তিনি একই সঙ্গে আরবি, উর্দু ও বাংলায় পারদর্শী ছিলেন। এসব যোগ্যতা দিয়ে তরুণদের জেএমবিতে দীক্ষিত করতেন।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ২০০৬-০৭ সাল থেকে সুমন ভারতে অবস্থান করছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি জেএমবির শাখা বিস্তারে কাজ করছিলেন।
গত বছরের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড় জেলার একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে দুই জেএমবি সদস্য নিহত হয়। এ বিস্ফোরণের পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেএমবির সদস্যদের ধরতে অভিযান শুরু করে।