‘আলিবাবা’র জ্যাক মা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য
বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স কোম্পানি ‘আলিবাবা’র প্রধান জ্যাক মা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। অবাক করা খবরই বটে! দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা দ্য পিপলস ডেইলির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। জ্যাক মাকে কমিউনিস্ট পার্টিশাসিত চীনের সবচেয়ে বড় পুঁজিবাদী ব্যবসায়ী বললে ভুল হবে না।
সম্প্রতি দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা ১০০ জন নাগরিকের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে চীন। সেখানে যথারীতি জ্যাক মার নামও রয়েছে। পত্রিকাটি বলেছে, জ্যাক মা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। তিনি প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ সম্পদের মালিক। এর আগে বিখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস তাঁকে চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বলে আখ্যায়িত করে।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেসরকারি ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর সাম্প্রতিক কড়া নজরদারির সময়ে জ্যাক মার পার্টির সদস্য থাকার খবরটি দলীয় কাগজে গুরুত্বসহকারে প্রকাশের বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা।
‘তাঁর (জ্যাক মা) মতো লোকের পার্টি সদস্য হওয়ার খবর প্রকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এমনটি আসলে সময়ের দাবি ছিল,’ সিএনএনকে এ কথা বলেছেন ‘আলিবাবা : দ্য হাউস দ্যাট জ্যাক মা বিল্ট’ বইয়ের লেখক ডানকান ক্লার্ক।
তবে দলীয় পত্রিকাটি এ খবর কেন প্রকাশ করেছে, তা পরিষ্কার নয়। ১০০ জনের তালিকায় থাকা অন্য প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের বেলায় রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। জ্যাক মা ঠিক কবে থেকে সদস্যপদে রয়েছেন, তা বলা না হলেও হঠাৎ তাঁর সম্পর্কে এমন খবরে সবাই বেশ অবাক হয়েছেন।
সামনের বছর ‘আলিবাবা’র প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন জ্যাক মা। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৩৯০ বিলিয়ন ডলারের একটি কোম্পানিতে দাঁড় করানো এই চীনা ব্যবসায়ী এশিয়া-ইউরোপের বহু রাজনৈতিক নেতার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রেও তাঁর ব্যাপক ইতিবাচক খ্যাতি রয়েছে। নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ ‘আলিবাবা’কে ৪০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের কোম্পানি হিসেবে ধরে থাকে।
‘আলিবাবা’ অবশ্য রয়টার্সের কাছে জ্যাক মার কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদের কথা স্বীকার করেনি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কারো রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় প্রভাব ফেলে না।
দ্য পিপলস ডেইলি প্রকাশিত শত নাগরিকের তালিকায় বাইদু’র প্রধান রবিন লি এবং টেনসেন্ট হোল্ডিং লিমিটেডের প্রধান পোনি মার নাম থাকলেও তাঁরা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য কি না, তা বলা হয়নি। চীনের সবচেয়ে বড় তিনটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাইদু, আলিবাবা ও টেনসেন্টকে একত্রে মিলে ‘ব্যাট’ (বিএটি) বলা হয়ে থাকে।