সংঘাতপূর্ণ প্রচারণা শেষে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন কাল
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বহু সংঘাত-সংঘর্ষের পরও গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা।
প্রচারণার শেষ দিনে গতকাল প্রার্থীদের সভা-সমাবেশ করতে দেখা যায়। এদিন ভোটারদের কাছে প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
এদিন লাহোরে বিশাল সমাবেশ করে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এদিকে, দুর্নীতির দায়ে কারারুদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল) হয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রচারণায় অংশ নেন শাহবাজ শরিফ।
সমাবেশে ইমরান খান বলেন, ‘আমি সবাইকে বলতে চাই, এখনই নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার উপযুক্ত সময়। আপনাদের সবাইকে ২৫ জুলাই ভোটের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এদিকে, নিজেদের ভোটব্যাংক করাচিতে সমাবেশ করেছে মুত্তাহিদা কাওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)।
প্রচারণায় এমকিউএম নেতা ফারুক সাত্তার বলেন, ‘২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করতে পারলে আমরা পাকিস্তানের উন্নয়ন, অভিবাসন ইস্যু এবং সিন্ধু প্রদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাব।’
তবে প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে সভা-সমাবেশ ছাড়াও টেলিভিশনের পর্দায় প্রার্থীদের বিজ্ঞাপন ছিল চোখে পড়ার মতো।
পাকিস্তানের অধিকারকর্মী, বিশ্লেষক এবং প্রার্থীরা জানান, এবারের নির্বাচনী প্রচারণা পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি নোংরা এবং সংঘাত-সহিংসতাপূর্ণ ছিল। এবার অনেক সভা-সমাবেশে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। এ কারণে জীবন শঙ্কায় স্বচ্ছন্দে প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি অনেক প্রার্থী।
নির্বাচনে কে জয়ী হবে, তা কালই হয়তো জানা যাবে। তবে বিভিন্ন সংস্থার জরিপে উঠে এসেছে, এবার ইমরান খানের দল পিটিআইর জয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে নওয়াজ শরিফ কারাবন্দি হলেও পিছিয়ে নেই পাকিস্তান মুসলিম লীগ বা পিএমএল। তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছেন অনেকে।
সংসদের ৩৪২টি আসনে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন পাকিস্তানের নাগরিকরা। এর আগে প্রায় ১২ বছর পর ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে।