ইয়েমেনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করল সৌদি
ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি সদস্যদের ছোড়া সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগে আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে সৌদি আরব।
রোববার মধ্যরাতের আগেই রিয়াদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সৌদি বিমানবাহিনী তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে।
এরপর ওই এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। এ ধ্বংসাবশেষের আঘাতে এক মিশরীয় নাগরিক নিহত হয়েছে। রাজধানী রিয়াদে এটাই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। এ ছাড়া আরো দুই মিশরীয় আহত হন।
দেশটির সংবাদ সংস্থা এসপিএ এক বিবৃতির মাধ্যমে জানায়, বাকি চারটি ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির নাজরান, জিযান, খামিস মুশাইত শহরের দক্ষিণাঞ্চলে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদক জানান, তিনি হঠাৎ বিকট শব্দ ও আকাশে ধোঁয়া দেখতে পান। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এ সময় বিস্ফোরণের ফলে ছড়িয়ে পড়া আগুনের ফুলকি দেখা গিয়েছিল।
ঘটনার পরপরই জরুরি কর্মকর্তারা আশেপাশের বাড়িগুলোতে ছিটকে পড়া কাঁচ ছড়িয়ে পড়লো কিনা তা পরিদর্শন করতে গিয়েছিল।
রিয়াদের আকাশে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা গত পাঁচ মাসে তৃতীয়বারের মতো ঘটলো। ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে একটি আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতেই এই একাধিক হামলা করা হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
হুতি পরিচালিত সংবাদ সংস্থা ‘সাবা’ জানায়, তাঁরা রিয়াদের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে এইচ-টু ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। বাকি শহরগুলোতে অন্য ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।
২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকেই সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ইরানপন্থি শিয়া বাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে এবং প্রেসিডেন্ট রাব্বু মানসুর আল হাদিকে পালাতে বাধ্য করে। এরপর থেকেই এই অভিযান শুরু হয়।
সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ করছে ইরান, এমন দাবি যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির।
ইয়েমেনে এই সংঘর্ষে এই পর্যন্ত ১০ হাজার লোক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ২০ লাখের বেশি লোক তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখ মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে।