নিখোঁজ সাবমেরিনটির অনুসন্ধানে কী মিলল
আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে আর্জেন্টিনার নিখোঁজ সাবমেরিন এআরএ স্যান হুয়ানের অনুসন্ধান। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির নৌবাহিনীর মুখপাত্র এনরিক বালবি এ ঘোষণা দেন।
বালবি বলেন, দুই সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিনটি উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও সফলতা আসেনি। তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌবাহিনী।
বালবি আরো বলেন, সাধারণ সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ধরে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। সাবমেরিনটি নিখোঁজের স্থানে চালানো অভিযানে অংশ নেন আর্জেন্টিনাসহ বেশ কয়েকটি দেশের উদ্ধারকর্মীরা। তারপরও স্যান হুয়ান বা এর ধ্বংসাবশেষের কোনো চিহ্ন মেলেনি। পাওয়া যায়নি সাবমেরিনটি ৪৪ নাবিকের কোনো খোঁজ।
গত ১৫ নভেম্বর সকাল থেকে এআরএ স্যান হুয়ান নিখোঁজ হয়। আর্জেন্টিনার পাতাগোনিয়া উপকূল থেকে ৪৩২ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ আর্জেন্টিনা সাগরে অবস্থানকালে সাবমেরিনটির সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ হয় দেশটির নৌবাহিনীর।
এর আগে রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে এ সংবাদ সম্মেলনে বালবি জানান, সাবমেরিনটি নিখোঁজের স্থান থেকে একটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। তবে তার কারণ জানা যায়নি। ওই শব্দ পাওয়ার পর থেকে সাবমেরিনটির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আর্জেন্টিনার নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এআরএ স্যান হুয়ান সাবমেরিনটি উশুয়াইয়া এন রুট থেকে বুয়েন্স আয়ার্স প্রদেশের মার দেল প্লাতা শহরে যাচ্ছিল। পথেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সেটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে এটা হতে পারে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিখোঁজের দুদিন পর সন্ধ্যা থেকে জরুরি ভিত্তিতে সাবমেরিনটি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি উদ্ধারকাজে অংশ নেয় নাসার একটি বিমানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
এআরএ স্যান হুয়ান নামে ওই সাবমেরিন জার্মানির তৈরি। ডিজেল ও বিদ্যুৎ চালিত যুদ্ধযানটি ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে। সে সময় এটিই ছিল সর্বাধুনিক সাবমেরিন।