নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশের পর সৌদি যুবরাজ গ্রেপ্তার
নাগরিকদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের নির্দেশে এক যুবরাজকে গ্রেপ্তার করেছে রিয়াদের পুলিশ। তাঁর নাম প্রিন্স সৌদ বিন আবদুল আজিজ বিন মুসায়েদ বিন সৌদি বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। আরব নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুবরাজ রক্তাক্ত এক ব্যক্তিকে মারধর করছেন এবং আরেকজনের দিকে বন্দুক তাক করে আছেন।
সাত লাখ ৬০ হাজারবার দেখা একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, জনি ওয়াকার রেড লেবেল ব্র্যান্ডের ১৮টি হুইস্কির বোতল টেবিলে আছে এবং সঙ্গে এক বান্ডিল অর্থ। আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, রক্তাক্ত এক লোক গাড়িতে বসে আছেন এবং বাড়ির সামনে গাড়ি রাখায় তাঁকে গালিগালাজ করা হচ্ছে। আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারে বসে থাকা এক ব্যক্তিকে ঘুষি ও চড় মারছেন ওই যুবরাজ।
ভিডিওগুলো সৌদি আরবে ভাইরাল হয়ে গেছে এবং আরবি ভাষায় ‘প্রিন্স ট্র্যান্সগ্রেসেস অন সিটিজেনস’ (নাগরিকদের ব্যাপারে যুবরাজের সীমা লঙ্ঘন) হ্যাশট্যাগ লিখে টুইট করা হয়েছে।
সৌদির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বুধবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, এসব ঘটনার পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বাদশাহ। একই সঙ্গে ওই যুবরাজ ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন তিনি। এ ক্ষেত্রে ইসলামিক শরিয়া আইন অনুযায়ী আদালতের আদেশ পাওয়া পর্যন্ত কাউকে না ছাড়ার নির্দেশ দেন বাদশাহ।
মানবাধিকারকর্মী মৌদি আল জোহানি বলেন, বাদশাহর এই আদেশে বোঝা যায় কর্তৃপক্ষ রাজপরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে উদাসীন।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, সৌদি আরবে রাজপরিবারের সদস্যরা বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাঁরা প্রতি মাসে রাষ্ট্রীয় ভাতা পেয়েছেন, এর পরিমাণ কেউ জানে না। অবশ্য গত বছর অক্টোবর মাসে এক যুবরাজের মৃত্যৃদণ্ড কার্যকর করা হয়, যা সাধারণত হয় না। তিনি আরেক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় সৌদিতে।
২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাদশাহ সালমান তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান। নাগরিকদের সঙ্গে রুঢ় ও অপমানজনক আচরণের ভিডিও প্রকাশ পাওয়ায় তিনি কয়েকজন মন্ত্রীকে বহিষ্কার করেন। এ ছাড়া ফটোগ্রাফারকে চড় মারার ভিডিও দেখে তিনি আদালতের এক কর্মকর্তাকেও পদচ্যুত করেন।