মিনি স্কার্ট পরা অবস্থায় ভিডিও করে প্রকাশ করা সৌদি আরবের এক মডেলকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিয়েছে দেশটির পুলিশ।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার খুলুদ নামের ওই মডেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খবরটি জানানো করা হয়েছে।  

জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী জানান, তাঁর ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়েছে তা জানতেন না তিনি। পুরুষ অভিভাবকের সঙ্গে থাকা অবস্থায়ই তিনি ওই ভিডিও ধারণ করেন।

ছোট জামা ও স্কার্ট পরা ওই মডেলের ভিডিওটি স্ন্যাপচ্যাটে ধারণ করা হয়। গত রোববার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে প্রকাশ করেন তিনি। এরপর থেকে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

ভিডিও প্রকাশের পর পোশাকের বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে খুলুদের শাস্তি দাবি করেন সৌদির বহু নাগরিক। কেউ কেউ আবার তাঁকে ‘সাহসী’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁদের মতে, ওই নারীর অধিকার আছে নিজের ইচ্ছেমতো পোশাক পরার।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, জনসমক্ষে নারীদের ঢিলেঢালা লম্বা পোশাক (আবায়া) পরতে হয়।  এ ছাড়া মুসলিম নারীদের মাথায় স্কার্ফ পরতে হয়। তবে আবায়ার নিচে নারীরা কী পরবেন, তা নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

সৌদিতে নারীদের গাড়িচালানো নিষেধ। বাইরে ভ্রমণ, কাজে যাওয়া কিংবা স্বাস্থ্যসেবা নিতে চাইলে তাদের অবশ্যই পুরুষ অভিভাবককে সঙ্গে নিতে হবে অথবা তাঁদের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খুলুদের প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানী রিয়াদ থেকে ১৫৫ কিলোমিটার দূরে নাজদ প্রদেশে উশায়কির গ্রামে একটি দুর্গের ফাঁকা রাস্তায় ঘুরছেন এক নারী। সেই ভিডিও প্রকাশের পর পরই টুইটারে এ নিয়ে আলোচনা শুরু করে সৌদি নাগরিকরা।