আল-আকসা মসজিদে জুমার নামাজ বন্ধ করল ইসরায়েল
অধিকৃত জেরুজালেমের প্রাচীন শহরে অবস্থিত মুসলিমদের অন্যতম পবিত্র স্থাপনা আল-আকসা মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ার জন্য জড়ো হন হাজার হাজার মুসলমান। কিন্তু গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনি ‘বন্দুকধারী’দের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের গোলাগুলিতে পাঁচজন নিহত হওয়ার পর মুসলিমদের সেই সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মসজিদটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হলো জুমার নামাজ।
শুক্রবার আল-আকসা প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনের বন্দুকধারীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ইসরায়েলের দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিন ফিলিস্তিনি। এ নিয়ে চলা উত্তেজনার মধ্যেই আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েলের পুলিশ।
আল-আকসা মসজিদ বন্ধের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করায় জেরুজালেমের শীর্ষ আলেম ও গ্র্যান্ড মুফতি শেখ মোহাম্মদ আহমেদ হুসাইনকে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলের পুলিশ। পরে ২ হাজার ৮০০ ডলার মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গ্র্যান্ড মুফতির ছেলে ওমর বলেন, ‘আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের পুলিশ আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।’
জেরুজালেমের প্রাচীন শহরে থাকা আলজাজিরার প্রতিবেদক হ্যারি ফসেট জানান, ‘এটা সত্যিই মুসলিমদের জন্য উদ্বেগজনক। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে ফিলিস্তিনিসহ ১০ হাজার মুসলমান আল-আকসায় যান।’
আল-আকসা মসজিদের অন্যতম কর্তাব্যক্তি শেখ ওমর কেসওয়ানি আল জাজিরাকে বলেন,‘জুমার নামাজ বন্ধ করে দেওয়া সম্পূর্ণ অন্যায্য। ওই দিন (শুক্রবার) যা ঘটেছিল, তাকে কাজে লাগিয়ে আল-আকসার ওপর এই নতুন অবরোধ চাপিয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল।’
শুক্রবার ৭৭ বছর বয়সী হাজি খলিল আবু এল শেখ ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ইসরায়েলের বির-শেবা থেকে আল-আকসায় নামাজ পড়তে এসেছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলের পুলিশের বাধায় সেটি সম্ভব হয়নি। তাঁকে রাস্তায় নামাজ পড়তে হয়েছে।
হাজি খলিল বলেন, ‘কোনো ধর্মই এটা মেনে নেবে না। কোনো বিশ্বাসীর কাছেই এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’