খাবার দিতে দেরি, স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা
গত শনিবার রাতের ঘটনা। ভারতের রাজনীতি দিল্লির কাছের গাজিয়াবাদ শহরের বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় ফেরেন অশোক কুমার (৬০)। বাড়ি ফিরেই স্ত্রী সুনয়নার (৫৫) কাছে রাতের খাবার চান তিনি।
রোজ রাতে এভাবে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরা মেনে নিতে পারছিলেন না সুনয়না। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলেন তিনি। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ফলে অশোক যে রাতের খাবার দিতে বলেছিলেন সেটি পরিবেশন করতে দেরি হয়ে যায়। আর এতেই ক্ষেপে যান অশোক। খাবার দিতে দেরি হওয়ার অপরাধে সোজা বন্দুক বের করে গুলি করে বসেন স্ত্রীকে।
গাজিয়াবাদের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা রুপেশ সিংয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইন এসব তথ্য জানিয়েছে।
অশোক কুমার নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রুপেশ সিং বলেন, ‘প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন অশোক। শনিবার বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয় তাঁর। অশোকের মদ্যপানের অভ্যাস নিয়ে হতাশ ছিলেন সুনয়না। আর এ বিষয়ে নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু অশোক রাতের খাবারের জন্য তাড়া দিচ্ছিলেন। সেটি পরিবেশন করতে দেরি হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গুলি চালান তিনি।’
গুলিবিদ্ধ সুনয়নাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মাথায় গুলি লাগার কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতে নারী নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ সবচেয়ে বেশি পায় পুলিশ। ২০১৫ সালে প্রতি চার মিনিটে একটি করে পারিবারিক সহিংসতার খবর পাওয়া যেত।
ভারতের একটি সরকারি জরিপ বলছে, দেশটির ৫৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ শতাংশ নারী মনে করেন একজন স্ত্রী যদি তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকদের অসম্মান করেন, সংসার বা সন্তানদের দেখভাল না করেন বা খাবারে লবণ কম দেওয়ার মতো কাজ করেন তাহলে স্বামী তাঁকে পেটাতেই পারেন।