সংকট নিরসনে আলোচনার আহ্বান কাতারের
সৌদি আরবের নেতৃত্বে কয়েকটি দেশের সঙ্গে চলমান সংকট নিরসনে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি।
বুধবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘চ্যাটহ্যাম হাউস’কে এ অবস্থানের কথা জানান থানি।
‘আমরা সংকট নিরসনের যেকোনো পদক্ষেপকে স্বাগত জানাব। তবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেব না’, বলেন থানি।
‘আমরা যদি সমস্যা সমাধানে কোনো ফলপ্রদ আলোচনায় বসতে না পারি, তবে তা অন্যান্য দেশের জন্য নেতিবাচক নজির স্থাপন করবে। ফলে বিশ্বের যেকোনো দেশ ভবিষ্যতে এ সমস্যায় পড়তে পারে’, যোগ করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সৌদি ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব খর্ব করার অভিযোগ এনে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা চায় আমরা তাদের কাছে এই অবরোধ তুলে নেওয়ার নামে আমাদের সার্বভৌমত্ব সঁপে দিই।’
‘তারা আগ্রাসী। অবরোধ আরোপের পর থেকেই তারা সব সময় কাতারকে আক্রমণের জন্য ওত পেতে থেকেছে। আমি প্রত্যাশা করব, অচিরেই তারা আক্রমণের পথ ছেড়ে আলোচনার পথে আসবেন।’
থানি বলেন, ‘যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের আন্তর্জাতিক আইনের কথা মাথায় রাখা উচিত। কারণ, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা প্রত্যেক দেশের কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।’
‘আমরা প্রথম ধাক্কাটা সামলে নিয়েছি। এখন আমরা আমাদের জনগণকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমাদের জনগণকে রক্ষার জন্য যা করা দরকার, আমরা তাই করব। অন্য সব দেশ স্বাভাবিকভাবে যেমনটা করে।’
গত ৫ জুন সৌদি আরবের নেতৃত্বে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) দেশ বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং আরেক আরব দেশ মিসর কূটনৈতিকসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে কাতারের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরো কয়েকটি দেশ। সেই অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য সৌদির নেতৃত্বাধীন দেশগুলো কাতারকে ১৩টি শর্ত দেয়। সেই শর্ত পূরণের সর্বশেষ সময়সীমা ছিল বুধবার। এই দিনে মিসরের কায়রোতে বৈঠকে বসে চার দেশ। কিন্তু এতেও কাতারের বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।