মসুলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে আইএস : ফ্যালন

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন বলেছেন,২০১৪ সালে ইরাকের মসুল শহরে সহিংসতার মধ্য দিয়ে তৎপরতা শুরু করেছিল জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সেই শহরেই এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে সংগঠনটি।
স্থানীয় সময় বুধবার নিরাপত্তা জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গেনাইজেশনের (ন্যাটো) এক বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন ফ্যালন।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, মসুলকে আইএসের দখলমুক্ত করতে ইরাকি বাহিনীকে সহায়তা করত তাঁর দেশের রয়্যাল এয়ার ফোর্স (আরএএফ) সাত শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
ফ্যালন বলেন, সিরিয়ায় অন্যতম ঘাঁটি রাকাতেও নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করেছে আইএস। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণের কাজে যুক্তরাজ্যের আরো ৮৫ সেনাকে পাঠানো হবে। যদিও সেখানে আগে থেকেই ৫০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট গত কয়েক মাসে আইএসের বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করেছে। গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে জোরালোভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে আরএএফ।
সিরিয়ায় কুর্দিসহ বেশ কিছু জনগোষ্ঠীর জোট সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) সমর্থনে রাকায় ৬৯টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে যুক্তরাজ্যের বাহিনী। সেখানে আইএসকে হটানোর ‘অপ্রতিরোধ্য মুহূর্ত ও অগ্রগতি’ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফ্যালন।
আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য সাইবার হামলা অব্যাহত রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
ফ্যালন বলেন, বিশ্বে স্থিতিশীলতা আনা ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাজ্য।
‘আফগানিস্তানকে বহুজাতিক সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব; বলেন ফ্যালন।
‘তাই আমরা আফগান সরকার ও সেনাবাহিনীকে দেওয়া সহায়তা অব্যাহত রাখব, যাতে করে তারা তাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে পারে’, যোগ করেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।