লন্ডনে আগুনে মৃতের সংখ্যা ৫৮, চাপে সরকার
লন্ডনের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রিটেনে সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ ও ক্রোধ ক্রমেই বাড়ছে। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।
পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের পর কেনসিংটন এলাকায় গ্রেনফেল টাওয়ারের অন্তত ৫৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং মনে করা হচ্ছে, তাঁরা সবাই মারা গেছেন। তিনি বলেন, এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে এবং অনুসন্ধানকাজ শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ লাগবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে স্বীকার করেছেন, ঘটনার পর দুর্গত লোকদের সহায়তা ও তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে যা করা হয়েছে, তা যথেষ্ট ছিল না। তিনি তিন সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সবার কাছাকাছি এলাকায় বাড়ির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।
বিক্ষোভকারীরা এ ঘটনাকে দেখছেন সমাজের দরিদ্রদের প্রতি ধনী ও ক্ষমতাবানদের অবহেলা ও উদাসীনতার এক চরম নজির হিসেবে, গ্রেনফেল টাওয়ারের বাসিন্দারা যার মূল্য দিয়েছেন আগুনে পুড়ে মৃত্যুর মাধ্যমে।
টেরিজা মে এ ঘটনার শিকার মানুষের জন্য যথেষ্ট সহমর্মিতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে দুদিনের একটানা অভিযোগের পর দুর্গতদের জন্য ৫০ লাখ পাউন্ড বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু তাতে ক্ষোভ বা সমালোচনা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে রানি এলিজাবেথ তাঁর জন্মদিনে এক বিবৃতিতে এ ঘটনার পর ব্রিটেন যে দুঃসময় অতিক্রম করছে, তা স্মরণ করেছেন।