ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য গোবিন্দ কুমার ও তাঁর স্ত্রী কির্তির যমজ দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। গরমের ছুটিতে স্কুল বন্ধের সুযোগে পুরো পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন গোবিন্দ। তবে তখনো তিনি জানতেন না, এটাই হবে সপরিবারে তাঁর শেষ ভ্রমণ!

গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে বাড়ির বাইরে খেলতে যায় সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী যমজ দুই বোন হর্ষিতা ও হর্ষ। এরপর দীর্ঘ সময় তাদের খুঁজে না পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বাড়ির সামনে থাকা পরিত্যক্ত একটি হুন্দাই এলান্ট্রা গাড়ির ভেতর থেকে অচেতন অবস্থায় দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজন গাড়ির সামনের আসনে, অন্যজন পেছনের আসনে শুয়ে ছিল। গাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চেষ্টার পরও বের হতে পারেনি তারা।

জানা গেছে, শিশু দুটি গাড়ির ভেতরে ঢুকে ভুল করে দরজায় তালা মেরে দেয়। এরপর তারা আর বের হতে পারেনি।

দ্রুত শিশু দুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তাঁরা বলছেন, অতিরিক্ত গরম এবং আর্দ্রতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে শিশু দুটির।

এনডিটিভি জানিয়েছে, এই ঘটনায় শোকের মাতম চলছে গ্রামজুড়ে। বিশেষত একসঙ্গে পৃথিবীতে আসা দুই যমজের একসঙ্গেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনা কাঁদাচ্ছে সবাইকে।

যে গাড়ির মধ্যে দুই শিশুকে পাওয়া গেছে, সেটি গোবিন্দের এক আত্মীয়ের। বেশ কয়েক মাস ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় বাড়ির সামনে পড়ে ছিল সেটি। গোবিন্দের বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য কানওয়ার সিং বলেন, ‘আমরা কেউ ভাবতেই পারিনি যে ওরা ওই গাড়ির মধ্যে থাকতে পারে। মঙ্গলবারই পরিবারের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল ওদের। কিন্তু ওরা আমাদের চিরতরে ছেড়ে চলে গেল।’