ক্ষমতায় গেলে ১০ লাখ চাকরির সুযোগ : করবিন
নিজের দল ক্ষমতায় এলে ব্রিটেনজুড়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি ১০ লাখ ‘ভালো চাকরি’র সুযোগ সৃষ্টি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন।
আজ শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ইয়র্কে নির্বাচনী প্রচারে যুদ্ধবিরোধী জেরেমি করবিন বলবেন, শিল্পায়নের মাধ্যমে এই বৃহৎ অংশের কর্মসংস্থানের কথা বলা হচ্ছে।
করবিন প্রতিশ্রুতি দেবেন, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের বিনির্মাণের জন্য অন্তত ১০ লাখ ভালো চাকরির সুযোগ তৈরি করার। ইয়র্কে নির্বাচনী প্রচারণার একটি অনুষ্ঠানে করবিন ন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের জন্য তাঁর পরিকল্পনার কথা তুলে ধরবেন। এ ছাড়া জাতীয় রূপান্তর তহবিল এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংকের নেটওয়ার্কের ওপর জোর দেবেন।
‘লেবার পার্টির চাকরির সুযোগ তৈরির আলোচনা হচ্ছে, আমরা চাকরির বিকেন্দ্রীকরণের কথা চিন্তা করছি। যা একটি প্রকৃত জীবিকার ব্যবস্থা করবে। যা মানুষ পেতে পারে এবং যেটি মানুষকে গর্ব ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা দেয়’, বলবেন করবিন। লেবার পার্টি ব্রিটেনজুড়ে বৃদ্ধি চালাতে বিনিয়োগ করবে বলে যোগ করবেন তিনি।
লেবার পার্টির এই নেতা আরো বলবেন, ‘লেবার পার্টি নিশ্চিত করবে যে জনগণ আর ফিরে আসছে না। আমরা এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নির্মাণ করব, যেখানে প্রত্যেককে সম্পদ উৎপাদনের পাশাপাশি এর বণ্টন ভাগাভাগি করবে।’
তবে কনজারভেটিভ পার্টির চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড বলেছেন, করবিন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে না; বরং তিনি তাদের ধ্বংস করে দেবেন।
করবিনের এই অদূরদর্শী পরিকল্পনার ফলে উচ্চ কর এবং অধিক ঋণে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে বলে মন্তব্য করেন কনজারভেটিভ পার্টির চ্যান্সেলর।
সর্বশেষ গত বুধবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দলের নেতাদের নিয়ে বিতর্কের আয়োজন করে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ শহরে ওই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
আগের একটি নির্বাচনী বিতর্কে ভালো ফল না করতে পারার পর যুক্তরাজ্যের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত আরেকটি বিতর্ক অনুষ্ঠানে অংশই নেননি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির নেতা টেরিজা মে।
এদিকে বিতর্কে অংশ না নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলের সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছেন টেরিজা মে। যদিও বেশ প্রাণবন্তভাবেই বিতর্কে নিজের ও দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন।
এর আগেও ফক্স নিউজ ও চ্যানেল ফোরের একটি সরাসরি নির্বাচনী বিতর্ক এড়িয়ে গিয়েছিলেন টেরিজা মে। তাঁর বদলে তিনি ও লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন আলাদাভাবে ওই অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন। কারণ, মে-র ধারণা ছিল, এতে তিনি সুবিধা পাবেন। কিন্তু প্রশ্নোত্তর পর্বে মে থেকে জেরেমি করবিনই ভালো করেছেন বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ধারালো প্রশ্নের জন্য খ্যাত সাংবাদিক জেরেমি প্যাক্সম্যান।