ভারতে মহাসড়ক থেকে মাঠে নিয়ে চার নারীকে ‘গণধর্ষণ’
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে মহাসড়ক থেকে টেনে ক্ষেতে নিয়ে ডাকাতরা চার নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তাঁদের রক্ষা করতে গিয়ে ডাকাতদের গুলিতে নিহত হয়েছেন এক পুরুষ।
স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার পর এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গর্ভবতী এক আত্মীয়কে দেখতে বুধবার দিবাগত রাতে উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডা থেকে বুলান্দ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন একটি পরিবারের আট সদস্য। তাঁদের সঙ্গে ছিল সাড়ে ৪৭ হাজার রুপি। পথে গৌতম বুদ্ধনগর জেলার জেওয়ার এলাকায় যমুনা মহাসড়কের কাছে একদল ডাকাত তাঁদের গাড়িটির চাকা পাংচার করার জন্য ধারালো কিছু ছুড়ে মারে। কিন্তু এর পরও চালক গাড়ি চালিয়ে যান।
একটু দূরে চালক গাড়ি থামানোর পর গাড়ি থেকে নামতেই ওই ব্যক্তিদের ওপর হামলে পড়ে ডাকাতরা। তারা মূল্যবান সব জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে টেনে মাঠের পাশে নিয়ে চার নারীকে ধর্ষণ করে। বাধা দিতে গেলে তাঁদের এক আত্মীয়কে গুলি করে হত্যা করে তারা।
নিহত ব্যক্তির ভাইপো বলেন, ‘তারা আমাদের মাঠের মধ্যে যাওয়ার জন্য জোর করছিল। রাস্তায় আমাদের মারধর করছিল। এরপর তারা নারীদের ধর্ষণ করতে শুরু করে। আমার চাচা বাধা দিতে চেষ্টা করলে তারা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। তারা চার নারীকেই একাধিকবার ধর্ষণ করে। তাদের অলংকারও ছিনিয়ে নেয়।’
গৌতমবুদ্ধ নগরের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার লাভ কুমার বলেন, ‘এটা জঘন্য অপরাধ। এ বিষয়ে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। একজন খুন হয়েছেন। চারজন নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। পুলিশ এটা নিয়ে কাজ করছে।’
‘এই নারীদের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহতের ময়নাতদন্তও হয়ে গেছে। সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে পুলিশের দুটি দল কাজ করছে।’ বলেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ আরো জানায়, ডাকাতরা নারীদের টেনে মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, বাইরে কোনো একটা সমস্যা আছে অনুমান করে তারা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ আসতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় নেয়।
জেওয়ারের বিধায়ক ধীরেন্দ্র সিং বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবারটি জেওয়ার থেকে এসেছে। তারা একটি ইকো গাড়িতে করে বুলান্দ শহরে যাচ্ছিল। দুর্বৃত্তরা চাকায় কিছু একটা ছুড়ে মারে। ফলে চাকাটি ছিদ্র হয়ে যায়। কিছু দূর যাওয়ার পর একটা কুটিরের কাছে গাড়িটি থেমে যায়।’
ভারতের জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর ২০১৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে মহাসড়কের ৮৪ হাজার অপরাধের ৮০ ভাগই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।