বিয়ের আসর থেকে বরকে তুলে নিলেন ‘রিভলবার রানি’
বিয়ের আসর থেকে কনেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা হয়তো অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু সিনেমার কায়দায় মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে বরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর হয়তো অনেকেই শুনেননি। গত ১১ মে, বৃহস্পতিবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে।
বরকে তুলে নেওয়া নারীর নাম ভরসা সাহু। তিনি এরই মধ্যে পরিচিতি পেয়ে গেছেন ‘রিভলবার রানি’ হিসেবে।
ভরসার এই কাজ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বিস্মিতও হয়েছেন। এমনকি পুলিশের অনেকেও এ কাণ্ডে অবাক বনে গেছেন। কিন্তু খোদ ভরসাই এখন বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, গত বৃহস্পতিবার ভরসা একটি গাড়িতে চেপে দুজনকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের আসরে যান। এরপর বরের মাথা বরাবর রিভলভার তাঁক করে বলেন, ‘এই যুবক আমাকে ভালোবাসে। সে অন্য কাউকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে। আমি কোনোভাবে এ ঘটনা ঘটতে দেব না।’
ওই বক্তব্যের পর তিনজন বরকে মণ্ডপ থেকে নিয়ে যাওয়ায় বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। আগত অতিথিরাও যে যার মতো চলে যায়। কাঁদতে কাঁদতে মঞ্চ ছাড়েন কনে।
পরে কনের পরিবার থানায় একটি অপহরণ মামলা করে। আর এই মামলাতেই কথিত এই রিভলভার রানিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশের বান্দিলখান্দ পুলিশ। তবে নিখোঁজ বর অশোক যাদবের কোনো হদিস মিলেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে ভরসা জানিয়েছেন, কর্মসূত্রে বেশ কয়েক বছর আগে অশোক নামের ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গোপনে বিয়েও করেন। কিন্তু অশোকের পরিবার তাঁকে অন্যত্র বিয়ের চাপ দেয়। অশোক বাধ্য হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসে। এর আগে অশোকের ডাকে সাড়া দিয়েই তিনি (ভরসা) গাড়ি নিয়ে যান। পরে অশোক স্বতঃস্ফূর্তভাবেই গাড়িতে ওঠেন।
ভরসা পুলিশকে বলেন, ‘সে (অশোক)এই বিয়েতে খুশি ছিল না। ওই মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তুত ছিল না। কনের পরিবার জানত, সে (অশোক) ওই মেয়েকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিল না। কিন্তু এরপরও তারা পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার কথা বলে।’
ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী বান্দা থানা পুলিশের কর্মকর্তা আর কে মিশ্র বলেন, ‘তাঁরা প্রেমিক-প্রেমিকা এবং একে অপরকে আট বছর ধরে চেনেন বলে তিনি (ভরসা) জানিয়েছেন। ওই যুবক এই বিয়েতে মোটেও খুশি ছিল না। সে তাঁর (ভরসা) সঙ্গেই থাকতে চায়।’