গরু চুরির অভিযোগে ভারতে দুই মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা
ভারতের আসাম রাজ্যের নাগাঁও জেলায় দুই মুসলিমকে গরু চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী।
গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত দুই ব্যক্তি হলেন আবু হানিফা ও রিয়াজুদ্দিন আলী।
এ বিষয়ে নওগাঁও জেলার পুলিশ প্রধান দেবরাজ উপাধ্যায় বলেছেন, ‘গ্রামবাসী ওই দুই তরুণকে তাড়া করে পিটিয়ে হত্যা করে। তারা মাঠ থেকে গরু চুরি করছিল বলে দাবি গ্রামবাসীর।’
দেবরাজ আরো জানান, ওই রাতেই আহত দুজন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ওই দুই তরুণের হাত বেঁধে, মারধর করছে গ্রামবাসী।
এর আগে ভারতের জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে রিয়াসি জেলায় একই পরিবারের পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করে কথিত গোরক্ষকরা। আহতদের মধ্যে নয় বছরের একটি শিশুও ছিল। জেলার তালওয়ারা এলাকায় কাছ দিয়ে গরু ও অন্য গৃহপালিত প্রাণী নিয়ে যাচ্ছিল ওই পরিবারটি। তখন ওই হামলা চালানো হয়।
হামলায় আহত নাসিমা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘তারা আমাদের নির্মমভাবে মারে। আমরা কোনোরকমে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হই। ১০ বছর বয়সী আমাদের এক শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা জানি না সে মারা গেছে, না বেঁচে আছে। তারা বৃদ্ধদের গায়েও হাত তুলেছে। আমাদের মেরে নদীতে ফেলে দিতে চেয়েছিল।’
নরেন্দ্র মোদি ভারতের ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই দেশটির অধিকাংশ রাজ্যে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য রাজ্যগুলোতে গো-মাংস নিয়ে বিপত্তি দেখা দেয়। দেশটিতে এখনো পর্যন্ত গো-মাংস খাওয়া ও চোরাচালানের অভিযোগে ১০ জনকে হত্যা করেছে কথিত গো-রক্ষকরা।