হাসপাতালে এলেন মালবাহী বিমানে, ফিরবেন যাত্রীবাহীতে
মিসরের ৩৬ বছর বয়সী ইমান আহমেদ ভারতের হাসপাতালে গিয়েছিলেন মালবাহী বিমানে। তখন তাঁর ওজন ছিল ৫০০ কেজি। চিকিৎসার পর এখন তাঁর ওজন ১৭৬ কেজি। তাই তিনি এখন সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানে করে হাসপাতাল ছাড়বেন।
আজ শুক্রবার এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ইমানকে ভারতের মুম্বাইয়ের সাইফি হাসপাতালে নেওয়া হয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি। তখন তাঁর ওজন ছিল প্রায় ৫০০ কেজি। কয়েক ধাপে সেই ওজন এখন অনেক কমেছে। তাঁকে এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি হাসপাতালে নেওয়া হবে।
সাইফি হাসপাতালে প্রথম পর্যায়ে ইমানের ১০০ কেজি ওজন কমে। ৭ মার্চে ল্যাপারোসকপিক স্লিভ গ্যাসট্রেকটমি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর পাকস্থলীর ৭৫ শতাংশ কেটে ফেলা হয়, যাতে করে তিনি কম খেতে পারেন। ২৯ মার্চ তাঁর ওজন ৩৪০ কেজির নিচে নেমে যায়। এরপর তাঁর অর্ধেক ওজন কমে যায়। সম্প্রতি তাঁর সেই ছবিও প্রকাশ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাইফি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমানকে দ্রুত স্থানান্তরিত করা হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে। সেখানে তাঁকে বারঝিল হাসপাতালে ভর্তি করার কথা রয়েছে। ওই হাসপাতালে নেওয়ার জন্য সাধারণ যাত্রী হিসেবেই বিমানে যেতে পারবেন ইমান। যা ওজন কমার কারণেই সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মুম্বাইয়ের সাইফি হাসপাতালের ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি শাখার প্রধান ডা. অপর্ণা সরকার জানান, ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ইমান আহমেদের ওজন ছিল ৫০০ কেজি, আজ তাঁর ওজন ১৭৬ দশমিক ৬ কেজি।
সাইফি হাসপাতালের ব্যারিয়াট্রিক সার্জন মোফাজ্জল লাকদাওয়ালা বলেন, দ্রুততার সঙ্গে ইমানের ওজন কমেছে। স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) করায় তাঁর শরীরের এক অংশ এখনো পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাঁর কথা বলতে ও খেতে সমস্যা হচ্ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ইমান এখন হুইলচেয়ারে দীর্ঘ সময় ধরে বসতে পারবেন। দুর্দান্ত গতিতে তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে। তাঁর হৃদযন্ত্র, কিডনি, ফুসফুস এবং শরীরে অতিরিক্ত তরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ডা. লাকদাওয়ালার চিকিৎসকদল আশা করছেন, ছয় মাসের মধ্যেই ইমানের ওজন ১৫০ কেজির কাছাকাছি চলে আসবে।