খামারে গরু নেওয়ার পথে একজনকে পিটিয়ে হত্যা ভারতে
দুধের খামারের জন্য গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তি। তাঁদের পথে আটকাল কথিত গোরক্ষা দলের কয়েকজন কর্মী। এরপর তাঁদের নৃশংসভাবে পেটানো হলো। এতে নিহত হন একজন। আহত হন চারজন।
ঘটনাটি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের। নিহত ওই ব্যক্তির নাম পিহলু খান।
ঘটনা সরেজমিনে অনুসন্ধান করতে হরিয়ানা যান বিবিসির সংবাদকর্মী নিতিন শ্রীবাস্তব। ওই গ্রামে নিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
আহতদের মধ্যে একজনের নাম আজমল। কুঁড়েঘরের মধ্যে একটি খাটে শুয়ে ছিলেন তিনি। দেখা যায়, পিটুনি খেয়ে তাঁর পাঁজরের হাড় ভেঙে গেছে। চোখের নিচে কালশিটে পড়ে গেছে। এ ছাড়া তাঁর হাত ও পেটেও রয়েছে কাটা দাগ।
আজমল জানান, হরিয়ানায় তাঁদের গরুর খামার আছে। চারজন সহকারীর সঙ্গে রাজস্থান রাজ্যের রাজধানী জয়পুরে গরু কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। পথে তাঁদের আটকানো হয়।
আজমল আরো বলেন, ‘গরু কেনার বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও আমাদের রাস্তায় টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর আমাদের লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। এ সময় তাঁরা আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্য চিৎকার করছিল। সময়মতো পুলিশ না এলে আমাদের সবাই মারা যেত।’
আহতদের সবাইকে তখনই স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার তিন দিন পর আহত অবস্থায় মারা যান পিহলু।
গরুকে ভারতে পবিত্র প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশটির অনেক রাজ্যেই গো-হত্যা নিষিদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর গো-হত্যার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।