৭০ বছর পর খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ চালু
সত্তর বছর পর আবার চালু হলো খুলনা থেকে কলকাতা যাত্রীবাহী রেল যোগাযোগ। চলতি বছরের জুলাইয়ে কলকাতা থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল হয়ে খুলনা পর্যন্ত নিয়মিত এই যাত্রীবাহী ট্রেনের সেবা দেবে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শনিবার দুপুরে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে এই সেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০০৮ সালের এপ্রিলে চালু হয়েছিল কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস। তার পর থেকেই ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি ওঠে।
এর আগে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে শিয়ালদহ থেকে খুলনা ও যশোর পর্যন্ত নিয়মিত যাত্রীবাহী ট্রেন চলত। পাকিস্তান আমলে ওই রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ৩০ বছর পর ২০০১ সালে পেট্রাপোল-বেনাপোল হয়ে শুরু হয় পণ্যবাহী ট্রেনসেবা।
খুলনা থেকে কলকাতা যাত্রীবাহী রেল ছাড়াও একই দিন চালু হয় কলকাতা-খুলনা-ঢাকা বাস সার্ভিসও। কলকাতার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় নবান্ন থেকে এই বাসসেবার উদ্বোধন করা হয়। এই সেবার মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো মজবুত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দুই দেশের নেতারা।
এর আগে গত শুক্রবার প্রায় সাত বছর পর চার দিনের ভারত সফরে শুক্রবার দিল্লি পৌঁছান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্দেশ্য, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করা।
পরের দিন গতকাল শনিবার তিস্তা চুক্তি ও সামরিক সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় বসেন দুদেশের প্রধানমন্ত্রী। তবে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়িত না হলেও শিগগিরই এ নিয়ে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদি। এ ছাড়া এদিন দুদেশের মধ্যে অসামরিক পরমাণু চুক্তিসহ ২২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ ছাড়া ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক মজবুত করে ঢাকাকে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণও দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে ভারত।