ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শেখ হাসিনার নৈশভোজ আজ
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সফরের তৃতীয় দিন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
আজ রোববার সকালে শেখ হাসিনা আজমির শরিফ যাবেন। সেখানে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির (রহ.) দরগাহ শরিফ জিয়ারত করবেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন। পরে তিনি রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
আগামীকাল সফরের শেষ দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। বিকেলে তিনি ঢাকার উদ্দেশে দিল্লি ত্যাগ করবেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই নেতা নিজেদের মধ্যে একান্ত বৈঠকের পর দুই দেশের সংশ্লিষ্ট নেতা ও কর্মকর্তাদের নিয়ে শীর্ষ বৈঠক করেন। এ বৈঠক শেষেই দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, ঋণ, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ২২টি চুক্তি ও চারটি সমেঝাতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর আগে সকালে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান নরেন্দ্র মোদি। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর তিনি দিল্লির রায়ঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
গত সাত বছরের মধ্যে এটাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভারত ভ্রমণ। এর আগে ২০১০ সালে দেশটিতে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে নয়াদিল্লিতে বিমানবাহিনীর পালাম স্টেশনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভারী শিল্প, পাবলিক অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
দুই দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন এ সফর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত এবং দুই দেশের নেতৃত্বের মধ্যে আস্থা ও বন্ধন শক্তিশালী হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মাধ্যমে ঢাকা ও নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় উপনীত হবে বলে উভয় দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে।