ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপনের প্রস্তাব পাস করল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপনের একটি বিতর্কিত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট। ওই প্রস্তাবে দখলকৃত পশ্চিমতীরে আরো চার হাজার বাড়ি নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার উপস্থাপন করা ওই প্রস্তাবটিতে পার্লামেন্টের ৬০ সদস্যের মধ্যে ৫২ জন ‘হ্যাঁ’ ভোট দেন।
নতুন এই প্রস্তাবে পশ্চিমতীরে বসতি নির্মাণের জন্য অধিকৃত ফিলিস্তিনি জমির মালিকদের অর্থ কিংবা বিকল্প জমি দিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর অধিকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনের জমিতে ইসরায়েলের বসতি নির্মাণের হার বেড়েছ। আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপনের বিষয়টিতে ট্রাম্পের অবস্থান তাঁর পূর্বসূরি বারাক ওবামার তুলনায় অনেকটাই নরম। আর এর সুযোগ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘনে আন্তর্জাতিক নিন্দা ও চাপকে উপেক্ষা করছে ইসরায়েল।
ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পর গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকটি এলাকায় বসতি স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ইসরায়েল। এসব এলাকায় এক হাজারের বেশি বসতি স্থাপন করবে দেশটি।
দখল করা পশ্চিমতীরে নতুন এ বাড়িগুলো স্থাপনের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি ইসরায়েলের নতুন বসতি স্থাপনের তৃতীয় ঘোষণা।
এর আগে একই মন্ত্রণালয় গত দুই সপ্তাহে দখল করা পূর্ব জেরুজালেমে পাঁচ শতাধিক ও পশ্চিমতীরে দুই শতাধিক বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছিল।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান বসতি স্থাপনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বসতির চাহিদা মেটাতে এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন বাড়িগুলো এখনকার বসতির মধ্যেই স্থাপন করা হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।