প্রতিদিন সারা বিশ্বে ৯০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকে। অথচ প্রতিবছর ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন টন খাবার অপচয় হয় এই পৃথিবীতেই। মানুষের অপচয় রোধের অভ্যাস, যত্নের সঙ্গে পণ্যের ব্যবহার বাঁচাতে পারে কোটি কোটি মানুষকে।

আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, ১৯৭২ সালে জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে প্রতিবছর সারা বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

urgentPhoto

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শতকোটি জনের অপার স্বপ্ন, একটি বিশ্ব, করি না নিঃস্ব’।

বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইউএনইপি বলেছে, ৭০০ কোটি মানুষের পৃথিবী। ৭০০ কোটি স্বপ্ন। আর আমাদের প্রিয় পৃথিবী একটাই। সবার অধিকার আছে নিজের স্বপ্নপূরণের। প্রকৃতির অমূল্য সম্পদ সবাই একটু যত্ন করে ব্যবহার করলে হাসি ফুটবে সবার মুখে। আর এ হাসিটাই বাঁচিয়ে রাখবে আমাদের পৃথিবীকে।

দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, ‘খাদ্যে অপচয় না করে, শক্তিসম্পদ, পানি নষ্ট না করে আমাদের জীবনমান উন্নত করতে পারি। পরিবেশের ক্ষতি না করে জীবনমান উন্নত করাই টেকসই উন্নয়নের উদ্দেশ্য।’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় দেশের সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, এ জন্য জনমানুষের মধ্যে সচেতনতা বোধ যেমন জাগিয়ে তুলতে হবে, তেমনি আইনের পরিপালনও নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে সরকারের পাশাপাশি প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়সহ সব মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণে জনসম্পৃক্ততা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।