ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় চটেছে ইরান, পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী ও সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ওই সাতটি দেশের মধ্যে রয়েছে ইরান। বিষয়টি নিয়ে বেশ চটেছে দেশটি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ট্রাম্পের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আইনি, রাজনৈতিক ও সমুচিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে ইরান, তা জানাননি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে জাভেদ লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মতো আমরা অতীতকে ধরে রেখে সিদ্ধান্ত নিই না। বৈধ ইরানি ভিসা থাকলে সবাইকে স্বাগতম।’
এর আগে ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের বিরোধিতা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা, তা তিন মাসের মতো সাময়িক হলেও এটা ইরানসহ মুসলিম বিশ্বের জন্য অপমান।’
‘যতক্ষণ যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জনগণের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে না নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ইরানের জনগণের অধিকার রক্ষার্থে বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক, আইনগত ও বিপরীত ধরনের ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়া হবে।’
তবে স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বৈধ ভিসাধারী অভিবাসী ও শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সাময়িক স্থগিত করেছে দেশটির আদালত।
এর আগে সাতটি মুসলিম দেশ ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসলামী জঙ্গিদের দূরে রাখার জন্য এটি একটি পদক্ষেপ। আমরা তাদের এখানে চাই না।’
‘যারা আমাদের সেনাদের জন্য হুমকি, তাদের আমরা নিতে পারি না। আমরা তাদেরই নেব, যারা আমাদের দেশ ও দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসে।’
ট্রাম্পের ওই আদেশে ওই সাতটি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া নাগরিকরা বেশ ঝামেলায় পড়েন। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় দুই ইরাকি নাগরিককে। পরে তাঁরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন।