শিশুর চেয়ে পোষা কুকুর বেশি
যে দেশে মানবশিশুর জন্মহার কম, নাকি মানুষের কুকুরছানার দিকে আগ্রহ বেশি? এমন প্রশ্ন আর তর্ক আসতেই পারে ব্রাজিলের ক্ষেত্রে। ব্রাজিলিয়ান ইনস্টিটিউট অব জিওগ্রাফি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকসের (আইবিজিই) এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, ব্রাজিলে শিশুদের চেয়ে গৃহপালিত কুকুরের সংখ্যা বেশি।
রিপোর্টে জানা যায়, ব্রাজিলে পোষা কুকুরের সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি ২০ লাখ, পক্ষান্তরে ০-১৪ বছর বয়স্ক শিশুর সংখ্যা প্রায় চার কোটি। সে হিসাবে মানবশিশু আর পোষা কুকুরের মাঝে সংখ্যার ব্যবধান প্রায় ৭০ লাখ।
এর কারণ হিসেবে ব্রাজিলের জনগণের কুকুর-প্রীতির কথা তো বলতেই হবে। ব্রাজিলের ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারে কুকুর পালা হয়। আর গড়ে প্রত্যেক পরিবারে কুকুরের সংখ্যা ১ দশমিক ৮ শতাংশ। সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
শুধু কুকুরই নয়, বিড়ালের জন্যও ব্রাজিলীয়দের ভালোবাসার কমতি নেই। আইবিজিইর রিপোর্টে জানা যায়, প্রায় দুই কোটি ৯০ লাখ পরিবারে বিড়াল পোষা হয়।
পোষা কুকুর-বিড়ালের সংখ্যা সবচেয়ে কম ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় বিভাগে (যেখানে রাজধানী ব্রাসিলিয়া অবস্থিত)। এখানে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ পরিবারে কুকুর এবং প্রায় ৭ শতাংশ পরিবারে বিড়াল পোষা হয়।
কুকুরের জন্য সবচেয়ে বন্ধুবৎসল এলাকা হচ্ছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা পারানা। এখানে ৬০ শতাংশেরও বেশি পরিবারে কুকুর পোষা হয়।
তবে কুকুর পোষার ব্যাপারে আগ্রহ কিংবা কুকুরের প্রতি ভালোবাসা যতটা, মালিকদের কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণে আগ্রহ ততটা নেই। আইবিজিইর রিপোর্ট অনুসারে, কেবলমাত্র ৭৫ শতাংশ মালিকরা তাঁদের পোষা প্রাণীটিকে বছর বছর নিয়মিত জলাতঙ্কের টিকা দেন।
ব্রাজিলে জলাতঙ্কের টিকা দেওয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। এটি বাধ্যতামূলকও বটে! এ নিয়ে প্রতিবছর সতর্কতা সৃষ্টির জন্য প্রচারণা কার্যক্রমও চালানো হয়।